ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১০ এপ্রিলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রিপাবলিক ডে ঘোষণার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
১০ এপ্রিলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রিপাবলিক ডে ঘোষণার দাবি

ঢাকা: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ১০ এপ্রিল ১৯৭১ এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম শীর্ষক দুইদিনব্যাপী কনফারেন্স শুরু হয়েছে। এই কনফারেন্সে ১০ এপ্রিলকে রিপাবলিক ডে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (১০ এপ্রিল) ঢাকাস্থ বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে (রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন, সুগন্ধা) এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব 'ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) কর্তৃক আয়োজিত এই কনফারেন্সে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মকথা শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিলিয়ার চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম। মূল প্রবন্ধের ওপর সুদীর্ঘ আলোচনার এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম দাবি জানান যে, স্বাধীনতার এই ঘোষণাপত্রকে বাংলাদেশের জন্ম সনদ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং ১০ এপ্রিলকে রিপাবলিক ডে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম কর্তৃক রচিত ও উপস্থাপিত প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে, যা সবার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ডি-ফ্যাক্টো স্বাধীনতা হয়ে গিয়েছিল। কেননা, তখন থেকেই সারা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিলো। বাংলাদেশের অসহযোগ আন্দোলন গোটা বিশ্বের জন্য একটা দৃষ্টান্ত যে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে উপেক্ষা বা দমনের চেষ্টা করলে সেটা ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হয়। ইতিহাসের ঘটনাবলী পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিধায় সকল বিষয় ও সময়ের সমন্বয়ে ধারাবাহিক বিশ্লেষণ একান্ত প্রয়োজন।  

বিমসটেক এর প্রাক্তন উপদেষ্টা, বিশিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সের স্বাগত বক্তা, বিলিয়ার অনারারী সেক্রেটারী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, গত শতাব্দীতে বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র, যেটা সফলভাবে ইউনিলেটারাল ডেকলারেশন অব ইন্ডিপরন্ডেন্স (ইউডিআই) এর চর্চা করতে পেরেছে। আইনগতভাবে জনগণই হচ্ছে বাংলাদেশের মালিক পক্ষ। অতএব, আর দেরি না করে দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের মালিকানা প্রয়োগ করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডের মানুষ প্রজা থেকে নাগরিকে পরিণত হয়েছে। এই ঘোষণাপত্র কোনোক্রমেই পরিবর্তন বা সংশোধনযোগ্য নয় বিধায় এটা চিরন্তন।  

অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনালস (বিইউপি)-র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার অ্যাম্বাসেডর বীণা সিক্রি, ফরম ইস্ট পাকিস্তান টু বাংলাদেশ শীর্ষক বইয়ের লেখক এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ভিএসএম ব্রিগেডিয়ার আর পি সি ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক অ্যাডভোকেট জেনারেল ব্যারিস্টার বিমল কুমার চ্যাটার্জী বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।