ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বর্ণ চোরাকারবারী দোলনের বিচার চান ব্যবসায়ীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
স্বর্ণ চোরাকারবারী দোলনের বিচার চান ব্যবসায়ীরা ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: স্বর্ণ চোরাকারবারীদের গডফাদার এনামুল হক খান দোলনের অপকর্মের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন মোকাররম মার্কেটের সামনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, সামনে ঈদ, এ সময় যদি আমরা ব্যবসা করতে না পারি তাহলে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে ঈদ করতে পারবো না।

সে বিবেচনায় আমাদের ক্ষুদ্র দোকানগুলো বসার সুযোগ করে দিলে ভালো হতো৷

বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপ কার্যালয়ে স্বর্ণ চোরাকারবারীদের গডফাদার দোলনের বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ করেন তারা।

এসময় বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও প্রবাসী ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পড়েন বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, আপনারা জানেন বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে নিম্ন আয়ের মানুষ হকারি করে কোনো রকমে জীবন ধারণ করেন। কিন্তু এনামুল হক খান দোলনের রোষানল থেকে এ হকাররাও রক্ষা পায় নাই। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা অপব্যবহার করে দিনের পর দিন আমাদের উপর অত্যাচার করে আসছেন। আমাদের বাঁচার শেষ সম্বল দোকানের মালামাল আটক করে নিয়ে যেতেন তিনি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি করা হতো, অনেক সময় শারীরিকভাবে নির্যাতনও করত।

তিনি বলেন, আমাদের পরিচয় আমরা ব্যবসায়ী। আমরা ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা যেটুকু সঞ্চয় করেছি তা এনামুল হক খান দোলন নিয়ে গেছেন। আমরা ভুক্তভোগী সাধারণ ব্যবসায়ী আপনাদের মাধ্যমে এর সুবিচার প্রার্থনা করছি। পাশাপাশি দোলনের অপকর্মের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করছি।

আলমগীর হোসেন বলেন, আপনারা জাতির বিবেক। তাই আজ আমাদের বিপদের সময় আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে আমরা সু-বিচার পাবো বলে আশা করছি।

প্রবাসী ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বন্ধু হিসেবে সাড়ে চার বছর আগে দোলন আমার কাছ থেকে ব্যবসায়ীক কাজে তিন কোটি টাকা ধার নিয়েছেন। সেই টাকা এখনো দিচ্ছেন না। এখন তিনি আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না। ফোন ধরছেন না। এক বছর আগে জানিয়েছেন ছয় মাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দেবেন। কিন্তু বছর পার হলেও দিচ্ছেন না। নিরুপায় হয়ে আপনাদের স্মরণাপন্ন হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান দোলন সোনা চোরাকারবারী মূল হোতা হিসেবে দেশি- বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন। গণমাধ্যমে এমন তথ্য এসেছে। এনামুল হক খান দোলন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে অন্যতম- দেশের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জোরপূর্বক ঋণ গ্রহণ করে পরিশোধ না করা। শুধু দেশে নয় বিদেশেও একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
জিসিজি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।