ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদযাত্রা শুরু: এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
ঈদযাত্রা শুরু: এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

মাদারীপুর: ঈদ সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। রোজার ঈদ করতে প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পার হয়ে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী।

 

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যাও বেশি রয়েছে মহাসড়কে। ভোর থেকে প্রচুর সংখ্যক মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পদ্মা সেতুতে শর্ত মেনে চলাচল শুরু করেছে মোটরসাইকেল। এতে করে স্বস্তি এসেছে বাইকারদের মনে।

সরেজমিনে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দেখা গেছে, প্রচুর সংখ্যক যানবাহন ছুটছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা অভিমুখে। যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলের ভিড়। প্রতিটি গাড়িই যাত্রীতে পূর্ণ। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ইলিশ, বসুন্ধরা, আনন্দ, বিআরটিসি, প্রচেষ্টা, স্বাধীন এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাসে স্থানীয় যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন। এসব বাস পদ্মা সেতু পার হয়ে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্ট্যান্ডে যাত্রী নামাচ্ছে। এছাড়া মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের নিয়ে ছুটছে দূরপাল্লার বাস।  

এদিকে ঈদ সামনে রেখে আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী ছোট পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর থেকে বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ রুটে থ্রি-হুইলারে ভাড়া বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। দেড় থেকে দুইগুণ বাড়তি ভাড়া নিতে শুরু করেছে থ্রি-হুইলারগুলো।

আবুল হাসান নামে এক যাত্রী বলেন, পাঁচ্চর থেকে স্বল্প দূরত্বে ইজিবাইকে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। ত্রিশ টাকার ভাড়া চল্লিশ টাকা চাচ্ছে। মাহিন্দ্রা, অটো ভ্যানেও বেশি ভাড়া নিতে শুরু করেছে।

ঢাকা থেকে আসা আবুল হাসান নামে এক ব্যক্তি বলেন, লোকাল বাস পথে পথে থামে। অনেক সময় নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। এটা বিরক্তকর। অন্য গাড়িতে যাত্রীদের চাপ শুরু হচ্ছে তবে উপচে পড়া ভিড় এখনো হয়নি।

সদরপুরের যাত্রী মো. মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে ঢাকা থেকে সরাসরি সদরপুর পর্যন্ত যেতে পারছি। কোথাও নামতে হচ্ছে না। পরিবার-পরিজন নিয়েও যাত্রা পথে ভোগান্তি খুব একটা নেই। গাড়িতে উঠে বসলে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে।

শিবচরের সূর্যনগর এলাকার যাত্রী মো. রতন বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় এখন ঈদে বাড়ি ফিরতে ভোগান্তি নেই। আরামেই আসতে পেরেছি। তবে সড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় চলাচলে গতি কম ছিল।

এদিকে যাত্রীর চাপ মোকাবিলায় মাদারীপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচলরত পরিবহনগুলোর ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে মাদারীপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও ঢাকা থেকে মাদারীপুর পর্যন্ত একাধিক রুট হয়ে বাস চলাচল করবে। এক্ষেত্রে জেলার শিবচর, রাজৈর, কালকিনি উপজেলার যাত্রীরাও নিজ গন্তব্যে নামতে পারবেন।

এদিকে মহাসড়কে ব্যবস্থা বেড়েছে হাইওয়ে পুলিশের। ফিটনেসবিহীন এবং গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ।  

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, যাত্রীদের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেদিকে তৎপর রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের সীমানা পর্যন্ত একাধিক টিম রয়েছে মহাসড়কে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।