ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রশংসায় ভাসছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
প্রশংসায় ভাসছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ 

গাজীপুর: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবছর গাজীপুরে যানজটমুক্ত পরিবেশে গন্তব্যে যেতে পেরেছে উত্তরবঙ্গগামী লাখ লাখ যাত্রী।  ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে থেকেই নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

তাদের সেই পরিকল্পনা সফল ও বাস্তবায়ন হয়েছে এ বছরের ঈদযাত্রায়। তাই প্রশংসায় ভাসছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।  

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গাজীপুর মহানগর বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্র। বাংলাদেশের অধিকাংশ গার্মেন্টস, ওষুধ কারখানা ও অন্যান্য উল্লেখ্যযোগ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায়। প্রায় ৬৫ লাখ লোকের কাঙ্ক্ষিত নাগরিক ও পুলিশি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নীরলসভাবে আমরা কাজ করছি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ট্রাফিক বিভাগ। তারা নিয়মিত মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং অসংখ্য শাখা সড়কে সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক টঙ্গী ব্রিজ থেকে রাজেন্দ্রপুর অংশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এ সড়কে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০-৬০ হাজার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে।

এছাড়াও অন্যান্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে বিপুল সংখ্যক গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের শৃঙ্খলা আনয়নে জিএমপি ট্রাফিক বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান নির্মাণ কাজ বিশেষ করে আব্দুল্লাহপুর থেকে রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার এবং উলুখোলা থেকে মিরের বাজার, ভোগড়া বাইপাস হয়ে জিরানী বাজার পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হলেও বর্তমানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। চলমান নির্মাণ কাজের জন্য স্টেশন কেন্দ্রিক রাস্তার প্রশস্ততা হ্রাস, খানা-খন্দের সৃষ্টি, রোড ডিভাইডার না থাকা, বর্ষাকালে ড্রেনেজ সিস্টেম যথাযথভাবে কার্যকরী না হওয়ায় নিচু অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ধীরগতি ও যানজট দুঃসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যায়। তদুপরি সড়ক যানজটমুক্ত করতে এবং শৃংখলা আনয়নে নিরলস প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সবার চেষ্টায় ঘরমুখী যাত্রীদের আমার নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কাজ করছি।  

বলাকা পরিবহন বাসচালক জাকির হোসেন জানান, এ বছর ঈদের আগেও যানজট ছাড়াই ঢাকায় যাওয়া আশা করা যাচ্ছে। ৮/১০ বছরের মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে কখনো ঈদের আগে যানজট মুক্ত থাকেনি। যানবাহনের চাপ থাকলেও এবার ছিল না যানজট। মানুষ অনেকটাই স্বস্তিতে এ মহাসড়ক দিয়ে নিজ গন্তব্যে যেতে পেরেছে।  
 
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ঈদুল ফিতরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় যানজট সহনীয় পর্যায় ও সড়ক মহাসড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখাই ট্রাফিক বিভাগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা এপ্রিল ২১, ২০২৩
আরএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।