বরিশাল: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এসআই ফায়েজ ও দুদক কর্মকর্তা এমদাদুলের ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ইংলিশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রজমোহন কলেজ ইংলিশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন গোলাপোর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সৈয়দ মেহেদী হাসান, জাহিদ আব্দুল্লাহ রাহাত, বিপ্লব দাস, মোজাফ্ফর ইমন, তারিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের এটি লজ্জার বিষয়। এসআই ফায়েজ নিহত হওয়ার চারদিন পরও তারা ঘাতক বাসের চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। একজন পুলিশ সদস্য, আরেকজন দুদক স্টাফকে মেরে ফেলার পরও বরিশাল প্রশাসনের টনক নড়ছে না।
এসময় বক্তার প্রশ্ন তোলেন পুলিশ কি নিয়ে ব্যস্ত? যে গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক এ ঘটনার পর চারদিন অতিবাহিত হতে চললেও অপরাধী ধরতে পারছে না।
বক্তরা বলেন, এ দুজনের মৃত্যুর ঘটনার পর পরিবার আর ইংলিশ অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকে পুলিশের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ এখনও নেয়নি, থানারও কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা নেই। এমনকি থানা পুলিশ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে গণমাধ্যমকে।
মানববন্ধন থেকে আল্টিমেটাম ঘোষণা করে বলা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক বাসের চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তার করা না হলে আরও বড় কর্মসূচি নেওয়া হবে।
এদিকে মানববন্ধনের ব্যনারে ছেলের ছবি দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ফায়েজের বাবা আব্দুল মালেক। ব্যানারের ছবি ছুয়ে চিৎকার করে ছেলেকে ডাকেন। এসময়ে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়।
আব্দুল মালেক বলেন, কারও কাছে কোনো চাওয়া নাই, আমি আমার ছেলের খুনিদের বিচার চাই। আমি খুনিদের বিচার চাই-ফাঁসি চাই।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল বিকেলে বরিশাল নগরীর বসুন্ধরা হাউজিং সড়কের মুখে হিমেল পরিবহনের চাপায় নিহত হন এসআই ফায়েজ ও তার মামাতো ভাই দুদক কর্রকর্তা এমদাদুল হক। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এমএস/এসএ