ঢাকা: ৩২ বছর পূর্ণ হলো ভয়াল সে ২৯ এপ্রিলের। ১৯৯১ সালের এ দিনের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহতা মনে হলে আজও শিউরে ওঠেন উপকূলের মানুষ।
এদিকে আজই (২৯ এপ্রিল শনিবার) দেশের ১৩ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ফরিদপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, এ সময়ে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
সেদিন যা ঘটেছিল
১৯৯১ সালের এ দিনে প্রলয়ঙ্ককরী ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। এ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ছয় মিটার (২০ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয় এবং এতে বেসরকারি হিসেবে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম জেলার উপকূল ও দ্বীপগুলোতে। সন্দ্বীপ, মহেশখালী, হাতীয়া দ্বীপে মৃতের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। এর মধ্যে শুধু সন্দ্বীপে প্রাণ হারান প্রায় ২৩ হাজার লোক।
কর্ণফুলি নদীর তীরে কংক্রিটের বাঁধ এ জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংস হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১০০ টন ওজনের একটি ক্রেন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে স্থানচ্যুত হয় এবং টুকরো টুকরো হয়ে যায়। বন্দরে নোঙর করা বিভিন্ন ছোট বড় জাহাজ, লঞ্চ ও অন্যান্য জলযান নিখোঁজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অনেক যানও ছিল।
এছাড়া প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৯ এপ্রিল রাতে এটি চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। স্থলভাগে আঘাত হানার পর ঝড়ের গতিবেগ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এবং ৩০ এপ্রিল এটি নিষ্ক্রিয় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
জেএইচ