রাজবাড়ী: রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সুমন সবুজকে ঘরের জানালা দিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৮)।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কাছুন্দি ও মাটিখোলা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কাছুন্দি গ্রামের মো. সামু মোল্লার ছেলে মো. হালিম মোল্লা (৩০) ও মাটিখোলা গ্রামের মো. মহন মোল্লার ছেলে মো. বক্কার মোল্লা (৩৫)।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, এর আগে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল ইসলাম ওরফে যুবরাজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তার ভিত্তিতে র্যাব-৮, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার ও সিনিয়র এএসপি মো. নাজমুল হকের নেতৃত্বে হালিম ও বক্কারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। পরে তাদের রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ইতোমধ্যে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার আরও দুজনসহ মোট চার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৩ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের শামসুল আলম শেখের ছেলে বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সুমন সবুজকে তার ঘরের জানালা দিয়ে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সবুজের মৃত্যু হয়। এ সময় নিহত সবুজের বন্ধু সজীব শেখ গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের বাবা সামশুল আলম বাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ রাজবাড়ী সদর উপজেলার হাউলি জয়পুর এলাকার মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম যুবরাজ (২১) ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোপালবাড়ী গ্রামের মো. দিরাজ আলী শেখের ছেলে পশু চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা শেখ ওরফে নিজামকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
আরবি