ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হানাহানি-হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে প্রয়োজন বুদ্ধের বাণী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
হানাহানি-হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে প্রয়োজন বুদ্ধের বাণী 

ঢাকা: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুদ্ধ পূর্ণিমা ও গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে।  

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৩ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

বৌদ্ধধর্ম মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই তিন স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।

বৌদ্ধবিহারে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বুদ্ধপূজা, প্রদীপ জ্বালানো, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সমবেত প্রার্থনা করেন তারা।  

এ দিন মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধ বিহারে নিরাপত্তা পরিদর্শনে এসে পুলিশের মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশের সম্প্রীতির মেলবন্ধন বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। প্রতিবছর যখনই কোনো উৎসব আয়োজন হয় তখন প্রতিটি উৎসবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করার এবং নিরাপত্তার সহায়তার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।  

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সব বর্ণের মানুষকে একত্র করতে এবং হানাহানি, রক্তক্ষয় ও হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে বুদ্ধের বাণী প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাথের।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩ 
ইএসএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।