ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বরগুনায় আ.লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ৫৮ জনের নামে মামলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
বরগুনায় আ.লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ৫৮ জনের নামে মামলা 

বরগুনা: বরগুনায় নিজ বাড়িতে শফিকুল ইসলাম পনু আকন (৪৫) নামে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে ) বরগুনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম আকনের স্ত্রী মারজিয়া আকতার।

এই মামলায় ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত শফিকুল বরগুনা সদর উপজেলার পাকুরগাছিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম আলী আকনের ছেলে। তিনি আয়লা-পাতাকাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মামলার ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. হৃদয় হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, মশিউর রহমান জুয়েল, স্বপন হাওলাদার, মো. চান মিয়া, মো. সুজন, মো. জসিম মৃধা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পনু আকনকে বুকে পিঠে, পায়ে হাতে কপালে, মাথায় কমপক্ষে ৫০ টি কোপ দেয় এবং বুকে টেঁটা মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী ও ছেলে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের পেটাতে থাকেন। লাশ নিতে না পেরে আসামিরা ঘরের সামনের বারান্দায় সোফায় আগুন ধরিয়ে দেন। ওই রাতে বরগুনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার সময় আসামীরা বাধা দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০ টায় চিকিৎসক পনু আকনকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্য দিকে হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি আকাইদ হোসেন ঠান্ডার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে নিহত শফিকুল ইসলাম পনু আকনের ছেলে সাজিদুল ইসলাম হৃদয়সহ ২১ জনের নামে একটি বরগুনা থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় নেয়ামুল, রাব্বি ও মিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আলী আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (৪ মে) নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী মারজিয়া আকতার ছবি বাদী হয়ে আকাইদ হোসেন ঠান্ডাসহ ৫৮ জনের নামে একটি মামলা করেছেন। আমরা উভয় পক্ষের ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।