ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রসবকালে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নবজাতকের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
প্রসবকালে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নবজাতকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি

সিলেট: জেলার বিয়ানীবাজারে প্রসবকালে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

নবজাতকের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, প্রসবের সময় নবজাতকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দাবি করে মরদেহ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নবজাতকের মরদেহ বাড়ি নিয়ে দাফনের প্রস্তুতির একপর্যায়ে অভিভাবকেরা দেখতে পান নবজাতকের দেহ থেকে মাথা অনেকটা বিচ্ছিন্ন।

মূহুর্তেই বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী হাসপাতাল ঘেরাও করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।

স্থানীয়রা জানান, বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগীবাজার গড়রবন্দ এলাকার আইসক্রিম বিক্রেতা অহিদুর রহমানের স্ত্রী প্রসূতি রহিমা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শিশুটি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় হওয়ায় প্রসবে সমস্যার কথা জানান হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দায়িত্বশীলরা।

ওইদিন বিকেলে প্রসব বেদনা ওঠলে প্রসূতি মাকে লেবার ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। দায়িত্বশীল দুই নার্সের সঙ্গে একজন চিকিৎসকের সহায়তায় মৃত নবজাতকের জন্ম হয়।

নবজাতকের পিতা অহিদুর রহমান বলেন, প্রসবের জন্য নার্সরা (লাকী ও সুজালা) পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। নিরুপায় হয়ে তাদের দুই হাজার টাকায় রাজি করি। রাতে তারা জানায়, বাচ্চা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় হওয়া প্রসব হচ্ছে না। এরপর বাচ্চার প্রসব হলেও সে মারা গেছে জানিয়ে একটি কাপড়ে দিয়ে পেঁচিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করেন তারা।

তিনি জানান, স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে নবজাতকের মরদেহ দাফন করার সময় দেখা যায়, তার মাথা ঘাড় থেকে বিচ্ছিন্ন। বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা এলাকার মানুষকে জড়ো করে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

এলাকার লোকজন বলেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখে তারা জড়ো হয়ে হাসপাতালে এসে দায়িত্বশীলদের কাছে এর কারণ জানতে চান এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। জনতা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল হক খান বলেন, মৃত নবজাতককে দেখতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার ঘাড়ের একপাশে কিছুটা সমস্যা হয়েছে, শুনতে পেয়েছি। বাচ্চাটিকে দাফনের পরে আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপরও অবহেলার সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মৃত নবজাতকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩
এনইউ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।