ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ধানমন্ডি লেকে পাওয়া ফার্মাসিস্টের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
ধানমন্ডি লেকে পাওয়া ফার্মাসিস্টের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

ঢাকা: নিখোঁজের পর ধানমন্ডির লেক থেকে উদ্ধার হওয়া এ বি ইমতিয়াজ আহমেদ মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৮মে) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত করা হয়।

পরে স্বজনদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহতের ভাই তার মৃত্যুর সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি।

এর আগে এ বি ইমতিয়াজ আহমেদের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করেন ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনসুর আহমেদ।

তিনি জানান, মরদেহের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা দাগ দেখা গেছে। এছাড়া শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি জানান, সকাল ৮টা সংবাদে ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোডের মাথায় লেকের পানিতে ওই ব্যক্তির মরদেহ ভাসছিল। পরে ফায়ারসার্ভিসের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ধানমন্ডি তিন নম্বর রোডে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। রোববার (৭ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডির বাসা থেকে বের হয়ে ফেরেননি। স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে।

এদিকে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে ইমতিয়াজ আহমেদের মরদেহ গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই ইন্তেখার আহমেদ খিলজি। তিনি বলেন, তাদের বাড়ি মিরপুরের মনিপুরে। তার ভাই ধানমন্ডি তিন নম্বর রোডে নিজ ফ্ল্যাটে স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন এবং জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া পড়ালেখা করেন।

তিনি আরও জানান, অনেক ভোরেই উঠতেন ইমতিয়াজ আহমেদ। রোববার ভোরে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। অফিসসহ কয়েক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর আজ (৮ মে) সকালে পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পাই ধানমন্ডি লেকে একজনের মরদেহ ভাসছে। সেখানে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। কীভাবে কী হয়েছে কিছুই বলতে পারছি না। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

ইন্তেখার আহমেদ খিলজি আরও বলেন, এদিকে আজ সকালের দিকে এক নারী পুলিশ দাবি করেছেন তিনি ভাইয়ের স্ত্রী। কিন্তু আমরা কেউ তাকে চিনি না। এমনকি ভাইয়ের মৃত্যুর আগে কখনো শুনিওনি। এ বিষয়টাও পুলিশ তদন্ত করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এজেজএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।