ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নাটোরে নতুন উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের ফলন বিঘায় ২৩ মণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
নাটোরে নতুন উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের ফলন বিঘায় ২৩ মণ

নাটোর: শস্যভাণ্ডার খ্যাত নাটোরের চলনবিলে নতুন উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের ফলন হচ্ছে বিঘায় ২৩ মণ।  

চারা রোপণ থেকে ১৩৭ দিন পর কৃষি বিভাগের স্থাপিত প্রদর্শনী খামারে শস্য কর্তন করে এই ফলন পাওয়া যায়।

এ বছরই প্রথমবারের মতো কৃষক পর্যায়ে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের বীজ অবমুক্ত করে চাষাবাদ করা হয়।
 
সোমবার (০৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে চলনবিলের কৈগ্রাম এলাকায় শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা, কৃষক জিল্লুর রহমান, মোজাফফর হোসেন, আইচান আলী, খুরশেদ আলম প্রমুখ।

শস্য কর্তনকালে এলাকার অসংখ্য কৃষক নতুন উদ্ভাবিত ধানের সাথে পরিচিত হতে খুরশেদ আলমের প্রদর্শনী খামারে ভিড় করেন।  

কৃষক আতাউর রহমান বলেন, বিনা-২৫ জাতের ধান থেকে সুগন্ধিযুক্ত সরু চাল হয়। যার চাহিদা হবে ব্যাপক। আগামী বছরে তিনি এই ধান চাষাবাদ করবেন।

আর কৃষক খুরশেদ আলম বলেন, এই জাতের ধান চাষাবাদে খরচ অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি নয়। বরং লাভজনক বলে মনে হচ্ছে। কারণ বাজারে এই ধানের দামও অন্যান্য ধানের চেয়ে একটু বেশি। ধানের মানও খুব ভালো। ভালো ফলন পেয়েছি। আশপাশের কৃষকদের আগ্রহ অনেক। তাই ফলনের সবটাই বীজ আকারে সংরক্ষণ করবো। পাশাপাশি আগামী বছর এই ধান চাষাবাদের পরিধি বাড়াবো।

একই মতপ্রকাশ করলেন শস্য কর্তস অনুষ্ঠানে সমবেত কৃষক জিল্লুর রহমান, মোজাফফর হোসেন, আইচান আলীসহ আরো অনেকে।

সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা বাংলনিউজকে জানান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধান এবারই প্রথম কৃষক পর্যায়ে অবমুক্ত করে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চাষাবাদ করা হয়েছে। পাঁচ কেজি বীজ কৃষক খুরশেদ আলমের এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা হয়।

১৩৭ দিনের জীবনকালে আজ ধান কর্তন করা হয়। বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে ২৩ মণ।  

তিনি বলেন, প্রদর্শনী খামারের শস্য কর্তনকালে উপস্থিত কৃষকের আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত। ফলাফলও অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এই জাত ভবিষ্যতের জন্যে অনেক সম্ভাবনাময়।

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলানিউজকে বলেন, আগামীতে এই ধান জেলার অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবে। এই ধান চাষাবাদ করে কৃষকরা অবশ্যই লাভবান হবেন। এবারে বিনা-২৫ ধানের অভিষেক ঘটলো।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।