ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জয়পুরহাটে ধান কাটা-মাড়াই শুরু, শঙ্কা ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
জয়পুরহাটে ধান কাটা-মাড়াই শুরু, শঙ্কা ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

তবে পুরো মাড়াই মৌসুম শুরু হবে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। এ অবস্থায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আতঙ্ক মাথায় নিয়ে স্বপ্নের ফসল বোরো ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত উত্তরাঞ্চলের ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ছোট জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২২-২৩ নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৬৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬১ হাজার ৯০০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে সাত হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন চাল।

উৎপাদন বিবেচনায় জেলায় আলুর পরে ধানকে প্রধান ফসল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের কিছু ধান বিশেষ করে সুফলতা ও খাটো জিরাশাইল নামক জাতের বোরো ধান টুকটাক কাটা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ খড়ার ফলে আবহাওয়া বিভাগের সতর্কবার্তা অনুযায়ী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির আতঙ্ক মাথায় নিয়ে ঘাম ঝড়ানো স্বপ্নের ফসল বোরো ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন কৃষকরা।  

সদর উপজেলার ধারকী গ্রামের কৃষক জাফর মিয়া বলেন, জমিতে থাকা বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে ঘাম ঝড়ানো কষ্ট ভুলে গেছি। ঝড় বৃষ্টির আগে ঘরে তুলতে পারবো কি না সেই চিন্তা করছি।

পাশের সোটাহার গ্রামের আজাহার আলী বলেন, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে।

কৃষিবিভাগ জানায়, আলুর বাম্পার ফলনের পর এবার বোরো ধানেরও বাম্পার ফলনের আশা কৃষি বিভাগের। বোরো ধানের গাছগুলো ধানের শীষের ভারে হেলে পড়েছে। জেলায় বোরো ধান চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষিবিভাগ সারের মজুদ নিশ্চিত করাসহ বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করে। স্থানীয় ব্যাংক বিশেষ করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বোরোসহ অন্যান্য ফসল চাষের কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণের ব্যাপক উদ্যোগ নেয়।  

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোছা. রাহেলা পারভিন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলনের আশা করছি। স্বপ্নের বোরো ধান সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে জেলায় ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।