ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাকরির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নসহ ৮ দফা দাবি জানালো বিক্রয় প্রতিনিধিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
চাকরির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নসহ ৮ দফা দাবি জানালো বিক্রয় প্রতিনিধিরা

ঢাকা: বিক্রয় পেশাজীবীদের চাকরির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও এই খাতের পেশাজীবীরা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে, তা নির্ধারণসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোট।

শুক্রবার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক গণসমাবেশে জোটের নেতারা এসব দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো- 

  • টি.এ মার্কেট অনুযায়ী বিক্রয় প্রতিনিধিদের মূল বেতন ১৫ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ৫ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা এক হাজার ৫০০ টাকা, দুপুরে খাবার বাবদ তিন হাজার ১২০ টাকাসহ মোট ২৪ হাজার ৬২০ টাকা দেওয়া; 

  • সব বিক্রয় প্রতিনিধির চাকরি স্থায়ীকরণ; 

  • বিক্রয় প্রতিনিধিদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা; 

  • কোনো বিক্রয় প্রতিনিধিকে চাকরিচ্যুত করলে তিন মাসের বেতন দেওয়া; 

  • কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া; 

  • প্রতি ঈদে বেতনের সমপিরমাণ বোনাস দেওয়া; 

  • সরকারি সব ছুটিতে বিক্রয় প্রতিনিধিদের ছুটি দেওয়া; এবং

  • সব বিক্রয় প্রতিনিধিদের বেতন বছরে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোটের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা মো. আরিফুর রহমান বলেন, বিক্রয় প্রতিনিধিরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন, সারাদেশে মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেন। কিন্তু তারা সামান্য বেতনে এই কঠোর পরিশ্রমের কাজটি করেন। আর্থিক সংকটের কারণে তারা দুপুরে ঠিকমতো খাবারও খেতে পারেন না। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

তিনি আরও বলেন, বিক্রয় প্রতিনিধিরা মে দিবস, ১৬ ডিসেম্বরের মতো সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ছুটি পান না। কারণ তাদের চাকরির কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এমনকি বিক্রয় প্রতিনিধিরা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে, তাও জানেন না কেউ। তাই বিক্রয় প্রতিনিধিদের বাঁচাতে হলে, তাদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। তারা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে তা নির্ধারণ কতে হবে। বিক্রয় পেশাজীবিদের চাকরিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

এ সময় তিনি অবিলম্বে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিক্রয় প্রতিনিধি কর্তৃক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

সংগঠনের সভাপতি মো. কামাল হোসেন ইতি বলেন, যেহেতু রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি, অধিকার বাস্তবায়ন না করে রাজপথ ছাড়বো না। বিক্রয় পেশাজীবীদের দিকে সরকারের সুদৃষ্টি নেই। সরকার চাইলেই বিক্রয় প্রতিনিধিরা ভালো থাকতে পারবেন।

এ সময় গণসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মফিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসসি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।