ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট আফরিন আখতার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মালাক্কা প্রণালী থেকে আরব সাগর পর্যন্ত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল সম্ভাবনা ও সুযোগে পরিপূর্ণ।

শনিবার (১৩ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ৬ষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের প্লেনারি সেশনে অংশ নেন আফরিন আখতার।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এখনো বিশ্বের নিম্ন পর্যায়ের সমন্বিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে রয়ে গেছে; বিশেষ করে বাণিজ্য এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগের ক্ষেত্রে, যা এই অঞ্চলের জন্য বড় ধরনের ব্যয়ের কারণ ঘটাচ্ছে।

আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সম্ভাব্য বাণিজ্যের এক-পঞ্চমাংশে রয়েছে, যার আনুমানিক বার্ষিক ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংকের গণনামতে, (আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়লে) বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপালের বিদ্যুতের বাজার আনুমানিক ১৭ বিলিয়ন ডলার মূলধন খরচ সাশ্রয় করবে। এবং পরিবহন ও লজিস্টিক্সের উন্নতি ঘটলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)-ভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় কনটেইনার শিপমেন্টের খরচ ৫০ শতাংশ কমতে পারে। এই পরিবর্তনগুলো এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে একটি রূপান্তরমূলক প্রভাব ফেলবে।

আফরিন আখতার বলেন, আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল আমাদের এই বিশ্বাসকে সুস্পষ্ট করেছে যে, আমাদের যৌথ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অংশীদারত্বের মাধ্যমে কাজ করা ছাড়া এই অঞ্চলের জন্য আমাদের যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এই প্রচেষ্টার জন্য আঞ্চলিক কাঠামো নির্মাণ ও সুবিধা প্রদান করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সংকটে সাড়া দিয়ে ও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের মাধ্যমে এই অঞ্চলে সহিষ্ণুতা/অভিঘাত-সহনশীলতা তৈরি এবং সমৃদ্ধিকে সহায়তা করছে।

তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের অভিঘাত-সহনশীলতার ক্ষেত্রে সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল কোভিড মহামারি মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা। যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং কোভ্যাক্স-এর সাথে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রায় ৭০ কোটি নিরাপদ ও কার্যকর কোভিড-১৯ টিকা ডোজ অনুদান দিয়েছে, যার মধ্যে ২৬ কোটি ৫০ লাখের বেশি টিকা ডোজ অনুদান দিয়েছিল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে; যার মধ্যে শুধু বাংলাদেশকেই ১৬১ মিলিয়ন বা ১৬ কোটি ১০ লাখ টিকা ডোজ অনুদান দেওয়া হয়েছে।

বিমসটেক এবং সার্কের মতো সংগঠনগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভারত মহাসাগরীয় অর্থনীতির জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দুয়ার খুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে উল্লেখ করেন আফরিন আখতার।

তিনি বলেন,  যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সমৃদ্ধির অগ্রগতিতে সহায়তা করছে। আমরা এই আঞ্চলিক কাঠামোর বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণ দেখতে চাই, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, এটি এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য অপরিহার্য ও অত্যাবশ্যক।

ঢাকায় ১২ ও ১৩ মে দুই দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।