ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বরগুনায় বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়ার আভাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
বরগুনায় বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়ার আভাস

বরগুনা: উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু হয়েছে। বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

এই বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে উপকূলীয় জেলা বরগুনার ৬ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে বিষখালী ও বুড়িশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে এদিন (১৪ মে) সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি; জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা আবহাওয়া অফিস।  

পানি বাড়ার আশঙ্কায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চর অঞ্চলের জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বরগুনার বেতাগী এবং বামনা উপজেলা ছাড়া জেলার বাকি চার উপজেলায় সিপিপির মোট ৮ হাজার ৪৬০ জন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৩০০ জন, জাগনারীর ১৫০ জন, ব্র্যাকের ৩৫৫ জন, রোভার স্কাউটের ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক তৎপর রয়েছেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে বরগুনা জেলার প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার কার্টন শুকনা খাবার, ৭০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১৯০ বান টিন হাতে আছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলার সব ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার এক তৃতীয়াংশ ও সদর উপজেলার বদরখালী, ৭ নম্বর ঢলুয়া, আয়লা পতাকাটা ও ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বরগুনা জেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।