ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাংস্কৃতিক অঙ্গনে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন অভিনেতা ফারুক: ঢাবি উপাচার্য

 ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন অভিনেতা ফারুক: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (১৫ মে) এক শোক বার্তায় উপাচার্য বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক ছিলেন সারাজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুসারী।

খ্যাতিমান এ  চলচ্চিত্র অভিনেতা ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অনন্য অবদান রেখেছেন। জনপ্রিয় এ অভিনেতার অভিনয় সাধারণ মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন গুণী এ অভিনেতার মৃত্যুতে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো। এদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন এবং বিকাশে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন আকবর হোসেন পাঠান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

২০২১ সালের ৪ মার্চ সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। চেকআপের পর তখন তার ইনফেকশন ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন এ অভিনেতা। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফারুক।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে তার অভিনীত 'সুজন সখী' ও 'লাঠিয়াল' সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর 'লাঠিয়াল'র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে 'সূর্যগ্রহণ' ও 'নয়নমণি', ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের 'সারেং বৌ', আমজাদ হোসেনের 'গোলাপী এখন ট্রেনে'সহ বেশকিছু সিনেমায় 'মিয়া ভাই'খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা মে ১৫, ২০২৩
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।