ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি: রাষ্ট্রপতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি: রাষ্ট্রপতি

পাবনা: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, কখনও ভোগের রাজনীতি শিখিনি, ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি। তাই তো আজ আল্লাহ আমাকে এ চেয়ারে বসিয়েছেন।

চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৬ মে)  সকালে পাবনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

সকাল সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেসক্লাবে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। পরে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেসক্লাবের জীবন সদস্য ও ২২তম সাধারণ সদস্য।

এসময় তিনি প্রেসক্লাবে তার নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দৈনিক বাংলার বাণীতে এক সময় কাজ করতাম। প্রেসক্লাবের খোলা ছাদে বসে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে জেলে গিয়েছি।  

প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মাছারাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ বক্তব্য দেন।  

সভার শুরুতে প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সেই সঙ্গে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা বিসিক শিল্পনগরে স্কয়ার সাইন্স অ্যান্ড লাইফ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন। বিকেল ৩টায় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি।   রাতে তিনি পাবনা সার্কিট হাউজে থাকবেন।  

চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এসে রাষ্ট্রপতি তার স্মৃতি বিজরিত স্থান পাবনা প্রেসক্লাবে আসেন। তিনি এসময় বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের নাম উল্লেখ করে তাদের রাজনৈতিক আদর্শের কথা তুলে ধরেন।  

তিনি বলেন, সেই সময়ের রাজনৈতিক নেতারা ত্যাগের রাজনীতি করতেন। আমি নিজে কখনো ভোগের রাজনীতি করিনি। জ্ঞানী মানুষদের সঙ্গে থাকলে অনেক কিছু শেখা যায়। সেই সময়ে দেখেছি বাম রাজনীতিবিদরা তাদের আদর্শের নেতাদের বই ও ছবি পকেটে নিয়ে ঘুরে বেরাতেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, এ দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের প্রায় সব প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি। কখনো কারো কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রজনীতি করেছি। এ পাবনা জেলার অনেক বাম ও ডান রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে জেল খেটেছি, শিখেছি অনেক কিছু। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে ভালোবেসে এ সম্মান দান করেছেন। আমি দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য কাজ করে যেতে চাই।

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ও শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সোমবার (১৫ মে) নিজের জেলা পাবনায় এসেছেন মো. সাহাবুদ্দিন।

এরপর বুধবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির অফিস পরিদর্শন শেষে  বিকেল ৪টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের যাদুঘর, বঙ্গবন্ধু কর্নার এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। এছাড়া তিনি বিকেল ৫টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন।  

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে ১১.৪০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে পাবনা ছাড়বেন রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।