ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুর পৌরসভার কসাইখানার বেহাল দশা

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
সৈয়দপুর পৌরসভার কসাইখানার বেহাল দশা

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার কসাইখানার বেহাল দশায় পৌঁছেছে। দীর্ঘদিনেও মেরামত ও সংস্কার হচ্ছে না সেটি।

ফলে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে কসাইদের  দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যাপ্ত জায়গার সংকট, চারপাশে দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনার স্তুপ, মোটর চুরির ফলে পানির স্বল্পতা, কুকুর ও কাকের উপদ্রব, খোলা জায়গায় রোদ-বৃষ্টিতে কসাইদের দুর্ভোগতো লেগেই আছে।  

পৌরসভা শহরের নয়াবাজার সুড়কি মহল্লায় গড়ে উঠেছে কসাইখানাটি। সৈয়দপুর পৌরসভাটি যদিও প্রথম শ্রেণির। কিন্তু কসাইখানাটি আধুনিক মানের নয়। পুরোনো আমলের কসাইখানায় রক্ত, গোবরের একটা স্তর তৈরি হয়েছে। আর সেখানেই গরু জবাই করা হচ্ছে। পাশেই গরুর ভুড়ি, চামড়া ও গোশতের উচ্ছিষ্ট ফেলা হয়েছে। সেখানে কাকের ঝাঁক আর দলে দলে কুকুরের আনাগোনা। এসবসহ ভাগাড়ের আবর্জনা মাড়িয়ে কাক-কুকুর ছুটাছুটি করছে কসাইখানাটরি শেডের ভেতরে ও বাইরের চত্বরে। আস্ত চামড়া ছেলা গরু আর গোশতের বড় বড় অংশের ওপরে নোংরা পায়ে বসে ঝিল্লি টেনে ছেঁড়ায় ব্যস্ত কাক। একইভাবে কুকুরেরা সুযোগ বুঝে দাঁত বসাচ্ছে গোশত কামড়ে খাওয়ার জন্য।



সূত্র জানায়, ইজারাদারকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার কসাইখানা নিতে হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। সিন্ডিকেট করে একটি চক্র এভাবে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ যদি সঠিক দরে ইজারা দেওয়া হতো, তাহলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কসাইখানার উন্নয়ন করতে পারতো ইজারাদার। অথবা সব টাকা যদি পৌরসভার তহবিলে জমা হতো, তাহলে সেই টাকাতেও কাজ করা যেত। কিন্তু টাকা ঠিকই ব্যবহৃত হয়েছে, তবে তা চলে গেছে ব্যক্তিগত পকেটে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর গোশত ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও কসাইখানার ইজারদার মো. নাদিম কোরাইশীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নিজের টাকাই তুলতে পারছি না, সেখানে সেবা কী দেব? ইজারার টাকা দিয়েইতো উন্নয়ন করতে পারে পৌরসভা। কিন্তু বর্তমান পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কাজই করছে না। অথচ শেডের পরিধি বাড়ানোসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান খুবই জরুরি।  



তিনি আরও বলেন, কসাইদের কষ্টের কথা ভেবে সব সদস্যের যৌথ স্বাক্ষরে একাধিকবার লিখিত আবেদন জানিয়েছি পৌর মেয়রকে। কিন্তু তিনি বার বার আশ্বাস দিলেও কিছুই করেননি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার রায় বলেন, কসাইখানার পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের কোনো লোকবল সেখানে নিয়জিত নাই। কারণ পৌরসভা থেকে এ ব্যাপারে কখনই কোনো আবেদন করা হয়নি।

এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার বেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

মোবাইলে তার মন্তব্য জানার জন্য বার বার চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি। কয়েকদিন চেষ্টার পর মোবাইল রিসিভ করলেও মেয়র কথা না বলে টগর নামে একজন জানান, মেয়র ব্যস্ত আছেন। কয়েক ঘণ্টা পর আবার কল দিলে পুনরায় টগর ধরে বলেন, মেয়র অসুস্থ, কথা বলতে পারবেন না। এমতাবস্থায় মেয়রের মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।