ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষার্থীরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা দেবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
শিক্ষার্থীরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা দেবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: আজকের শিক্ষার্থীরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা দেবে এজন্য একটি শিক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়োছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১৯ মে) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান।

 

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরা নতুন প্রযুক্তি কম্পিউটার, ট‍্যাব পাচ্ছে। ২০০৮ সালের আগে এগুলো চিন্তা করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দিন বদলের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন। তখন অনেকেই বলেছিলেন-ডিজিটাল বাংলাদেশ হবেনা; ডিজিটাল বাংলাদেশের আদলে টালমাটাল হয়ে যাবে। বাংলাদেশ টালমাটাল হয়নি, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি শিক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। শিক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে না পারলে এত সুন্দর বাংলাদেশ হয়েছে সেটিকে কে ধরে রাখবে? ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা কে দিবে? আজকের শিক্ষার্থী তোমরাই এ সুন্দর ও ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা দেবে।

বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আফছানা কাওছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়।

অনুষ্ঠানে জনশুমারি প্রকল্পের আওতায় নবম ও দশম  শ্রেণির ২৭০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্পিউটার/ট্যাব, মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইডিএ) প্রকল্পের ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে চেক ও সনদ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই এবং ২০ জন সবজি চাষির মধ্যে ভ্যান বিতরণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পরে বিরলের ৭ নম্বর বিজোড়া ইউনিয়নে জুগিহারী জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এর পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিরলে বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের সর্বশ্রেষ্ট সম্পদ। এ সম্পদকে অবহেলা করা যাবেনা। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের গর্ব। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের অহংকার। এই অহংকারকে বিসর্জন দেওয়া যাবেনা এবং এটা যেন কখনই বিসর্জন না যায়; সেজন্যই রাষ্ট্র আজকে দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা  ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা সংরক্ষণ করতে হবে। বড় ধরনের পরিধিতে নিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চর্চা ও গবেষণা করতে হবে। তাহলেই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ স্বার্থক হবে।

প্রতিমন্ত্রী এর আগে বিরলের জগৎপুর ১০ নম্বর রানীপুকুর ইউনিয়নে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে ধান, ভুট্টা ও গম শুকানোর পরিবেশবান্ধব অটোমেটিক ফুড ড্রাইয়ার মিলের উদ্বোধন করেন। এই দিন তিনি বিরলের ৯ নম্বর মঙ্গলপুর ইউনিয়নে শিকারপুর দুর্গা মন্দির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এসকে/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।