ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় উজবেক দূতাবাস খুলতে সব ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে: ড. মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
ঢাকায় উজবেক দূতাবাস খুলতে সব ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে: ড. মোমেন

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অলোয়েভ বাখরমজন জুরাবোয়েভিচ।

শনিবার (২০ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

দু’দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু ছিল, তা অচিরেই আবার চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় দু’দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনায় কোড শেয়ারিং পদ্ধতির বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-নয়াদিল্লি নিয়মিত ফ্লাইট এবং উজবেক এয়ারের নয়াদিল্লি-তাসখন্দ নিয়মিত ফ্লাইট দুটোর মধ্যে কোড শেয়ারিং পদ্ধতিতে দু’দেশের জনগণ ভ্রমণ করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে চাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। অচিরেই দু’দেশের মধ্যে এয়ার সার্ভিসেস এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের বিষয়ে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ২০২১ সালে উজবেকিস্তান সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতকালে ঢাকায় উজবেকিস্তানের কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে উজবেক প্রেসিডেন্টের ইতিবাচক মনোভাবের কথা স্মরণ করেন।  

এসময় বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক মিশন খোলার ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তা দেবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন।

উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে মোঘল আমল থেকে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও ইরানের চাবাহার বন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হলে পণ্য পরিবহনে খরচ কম হবে বলে উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উজবেকিস্তান থেকে তুলা আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অপরদিকে উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তান থেকে তুলা আমদানি করে ভ্যালু অ্যাডিশনের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উজবেকিস্তানে যৌথ উদ্যোগে সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় উজবেকিস্তানও অংশ নিতে পারে। ইতোমধ্যে আফ্রিকার কিছু দেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগে ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

ইমাম বোখারির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে ইমাম বোখারির গ্রন্থ বহুল পঠিত। তিনি বাংলাদেশিদের উজবেকিস্তান ভ্রমণ ও ব্যবসায়ীদের উজবেকিস্তানে বাণিজ্যের আগ্রহের কথা জানান। এ বিষয়ে  বাংলাদেশি নাগরিকেরা যাতে সহজে ভিসা পেতে পারে, সে বিষয়ে তিনি উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ৯ জুলাই অনুষ্ঠিব্য উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে অনুরোধ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনও বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে উজবেকিস্তান থেকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, উজবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অলোয়েভ বাখরমজন জুরাবোয়েভিচ বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সংলাপ বিষয়ক ২য় ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি) বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
টিআর/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।