ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৪ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
১৪ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু   ফাইল ফটো

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,  গত ঈদের মতো এবারও সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

চারটি কাউন্টারে বিক্রি হবে শুধু দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট। ঈদ যাত্রায় কেনা অগ্রিম টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।

২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।

গত ঈদের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দিনের শুরু থেকেই রেলের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা আশানুরূপ টিকিট পায় না। আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। আবার সার্ভারেও অনেক বেশি চাপ তৈরি হয়। তাই এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

বুধবার (২৪ মে) রেল ভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে ঈদকেন্দ্রিক ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিসংক্রান্ত বৈঠক হয়। এতে রেলের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। আগামী ২৯ বা ৩০ জুন ঈদ ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। আগামী ৩০ মে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা তুলে ধরার কথা রয়েছে।

১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের ও ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।

ঈদ যাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন। সেই হিসেবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে।

আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব: রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচদিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে।

ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এছাড়া আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয়দিন চালানো হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের উদ্দেশে।

এই ঈদকে কেন্দ্র করে এক জোড়া নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা পথে।

শুধু চার কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট: ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।

যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি ইঞ্জিন: রেলের অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ঈদ যাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটার গেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রড গেজ বগি আনা হবে।

এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ২৫ মে, ২০২৩
এনবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।