ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩

যশোর: যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে তাকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ মে) শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

আটকরা হলেন- শহরের খড়কি দক্ষিণপাড়ার হাজামপাড়া এলাকার মৃত মুরাদ সরদারের ছেলে জুম্মান (৩৮), একই এলাকার হাদিউজ্জামান মোল্লার ছেলে আরমান মোল্লা (৩০) এবং শংকরপুর যশোর কলেজ রোড এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে রাহাত হোসেন (২৫)।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপণ কুমার সরকার জানান, শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া ভূতেরবাড়ি এলাকায় ‘ফারদিন গ্লাস অ্যান্ড প্লাস্টিক স্টোর’ নামক একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক আশরাফুল হাসান বিপ্লবের কাছে একই এলাকার চাঁদাবাজ চক্রের হোতা একাধিক মামলার আসামি জুম্মান ও তার সহযোগীরা গত ২০ এপ্রিল থেকে একাধিকবার চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। ব্যবসায়ী বিপ্লব চাঁদা না দিলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোসহ খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখায় চক্রের সদস্যরা।  

এরপরে গত ৪ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিপ্লবের ফারদিন গ্লাস অ্যান্ড প্লাস্টিক স্টোর নামক প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন জনৈক তরিকুল ইসলামের বন্ধ কারখানার উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে একটি শপিং ব্যাগে রাখা দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ানশুটারগান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করা হয় এবং সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকে। এসময় আসামি জুম্মান পুনরায় ব্যবসায়ী বিপ্লবের কাছে চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি দেখালে, বিপ্লব বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।  

ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশোর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামে যশোর ডিবি পুলিশ। তারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করে চাঁদাবাজি ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

ডিবির ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিরা অন্যকে ফাঁসানোর জন্য অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিলেন। এ বিষয়ে আসামিদের নামে অস্ত্র আইনে পৃথক এজাহার দায়ের করা হয়।  

আসামিদের মধ্যে রাহাত ও আরমান বিজ্ঞ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ওসি রুপণ কুমার সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
ইউজি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।