ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩১ মে) উপজেলার বরপা এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন (২৩) ও বরপা পূর্বপাড়া এলাকার ফারুক সাউদের ছেলে অপু সাউদ (৩০)।

রুপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় বড়পা এলাকায় দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিল্লাল নামের এক রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর থেকে উভয় গ্রুপের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

বুধবার সকালে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামুন ও অপু সাউদ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আতাউর রহমান আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর আহতদের বার বার খবর দেওয়া হলেও তারা মামলা করতে আসেনি। তাই বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষার পর আসামিদের ৫৪ ধারায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নাম না প্রকাশ শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ভয়ে বা আতঙ্কে হয়তো আহতদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মামলা দেয়নি। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে রয়েছে। যেকোনো সময় আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তারা।

এর আগে, সংঘর্ষের ঘটনায় বিল্লাল নামের এক রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ।

পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিল্লালের কোমরে একটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। তবে বিল্লালের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারাব পৌর যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদের লোকজনের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের লোকজন তর্কবিতর্কে জড়িয়ে যায়। পরে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।

এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে রেস্তোরাঁর বাবুর্চি বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া ওই রেস্তোরাঁর সহকারী বাবুর্চি আফজাল, গ্লাস বয় আশরাফুল, চাইনিজ তৈরির সহকারী কামাল, রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মাসুদসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
এমআরপি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।