ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ নীতির মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ নীতির মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ নীতির মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। সে কারণেই নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম।

আর বিশ্বে দশম। আমাদের নারীদের এমনভাবে এগিয়ে নিতে হবে, গোটা বিশ্ব যেন শিখতে পারে।

রোববার (৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পণ্যের মূল্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের মেধা সম্পদ সরঞ্জাম ব্যবহার’ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ওয়াইপো) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকার নারী উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম সহজতর করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের এসএমই ক্রেডিট নীতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। নারীবান্ধব ঋণ নীতি চালু করা হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তাদের মূলধারার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেমন নারী চেম্বার এবং বাণিজ্য সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো করা, জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা ও নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করা।

তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জয়িতা ফাউন্ডেশনও নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা করে। এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য, মূল্য সংযোজন, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন বাজারে প্রবেশ বাড়াতে জোর দিতে হবে। আমাদের নারী উদ্যোক্তারা অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, বিশেষ করে ফ্যাশন ডিজাইন, শিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, চলচ্চিত্র, উৎপাদন, বয়ন, হস্তশিল্প, রন্ধনশিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা নারীদের সৃজনশীল ব্যবসার একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতা প্রত্যক্ষ করছি। এ প্রেক্ষাপটে আমি আশা করি,  প্রস্তাবিত প্রকল্পটি থেকে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং এবং প্যাকেজিং উন্নত করতে সহায়ক হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াইপোর ডেপুটি ডিরেক্টর হাসান ক্লেইব বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন। আমরা ব্যবসায় নারী সমতা আনতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। ওয়াইপো শুধু বড় কোম্পানির জন্য নয়, ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্যও কাজ করে থাকে। সে কারণে আমরা এসএমই খাতকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাই।

ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি, ই কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।