ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চার্জার ফ্যানের বিক্রি বেড়েছে মাদারীপুরে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
চার্জার ফ্যানের বিক্রি বেড়েছে মাদারীপুরে 

মাদারীপুর: তীব্র গরমের মধ্যে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ লাঘবে বেড়েছে চার্জার ফ্যান বিক্রি। ছোট-বড় নানা ধরনের চার্জার ফ্যান দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম তুলনামূলক বেড়েছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে লোডশেডিং। গভীর রাতে দুই/তিনবার নিয়ম করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ফলে গরমের কারণে অনেকেরই নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া সারাদিনেই বিদ্যুৎ যাচ্ছে বার বার। সন্ধ্যায় লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। গরমের মধ্যে লোডশেডিং থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে বিকল্প হিসেবে চার্জার ফ্যানের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। গত কয়েকদিনে মাদারীপুরের দোকানগুলোতে বেড়েছে চার্জার ফ্যানের বিক্রিও।  

দোকানিরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। দামও একটু বেশি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম রয়েছে ফ্যানের। প্রতিদিনই অনেক ফ্যান বিক্রি হচ্ছে। চায়না মিনি ফ্যানগুলো বেশি চলছে। স্কুলছাত্ররা এ ফ্যানগুলো বেশি কিনছে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে মিনি ফ্যানগুলো এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলে এক চার্জে। এছাড়া মান ও আকার অনুযায়ী ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে ফ্যান বেশি বিক্রি হচ্ছে।  
মো. শাহীন আলম নামে এক দোকানি বলেন, গরম এবং লোডশেডিং বাড়ায় চার্জার ফ্যান বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগের তুলনায় প্রতিদিন দ্বিগুণ বিক্রি হচ্ছে। দামও বেড়েছে। চায়না ফ্যানগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্য ফ্যানের চেয়ে তুলনামূলক দাম একটু কম এগুলোর। এছাড়া মিনি ফ্যান বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। অনেকে ফ্যানের ব্যাটারিও কিনে নিচ্ছেন।  

ফ্যান কিনতে আসা মো. সাইফুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, লোডশেডিং যে হারে বেড়েছে তাতে চার্জার ফ্যানের বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে বাচ্চারা পড়তে পারে না গরমের কারণে। এজন্য চার্জার ফ্যান নিচ্ছি। বাজারে ফ্যানের দাম বেড়েছে।  

আলাপকালে সাধারণ মানুষেরা জানান, প্রায় দিনই রাত ১২টার আগে পরে বিদ্যুৎ চলে যায়। দেড় দুই ঘণ্টা পর এসে ঘণ্টা খানেক থাকে আবার চলে যায়। এরপর ফজরের আগে চলে যায়। ভোর ৬টার দিকে আসে। রাতে ঘুমানো যায় না। বাচ্চাদের নিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে। হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে জেগে থাকতে হচ্ছে। ঘরে দুই/একটা চার্জার ফ্যান দিয়েও সবার চাহিদা মেটানো যায় না। খুবই দুর্ভোগ হয়। তাই কষ্ট হলেও চার্জার ফ্যান কিনতে হচ্ছে।  

মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. জনাব আলী বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। রাতে এবং দিনের বিভিন্ন সময়ে লোডশেডিং হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩ 
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।