ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোরবানির গরু নিয়ে প্রস্তত নীলফামারীর খামারিরা

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
কোরবানির গরু নিয়ে প্রস্তত নীলফামারীর খামারিরা

নীলফামারী: গরু মোটা তাজাকরণ করে কোরবানির জন্য প্রস্তত নীলফামারীর খামারিরা। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানির গরু উঠতে শুরু করেছে।


খামারিরা বলছেন, এ বছর গরুর দাম বেশি হওয়ায় কেনা-বেচা কম হচ্ছে। ফলে লাভও কম হবে। তবে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় গরু না ঢুকলে বেচাকেনা ভালোই হবে।  

নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুরের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, খামারিরা কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক দুইভাবে গরু লালনপালন করেছেন। এসব গরু মাস দুই আগে বিভিন্ন হাটবাজার থেকে কেনা হয়। ক্রয়কৃত গরুকে সুষম খাবার দিয়ে মোটা তাজাকরণ করা হয়েছে। খাদ্যের দাম বেশির কারণে লালনপালনে গরু পালনেও খরচ হয়েছে বেশি।  

নীলফামারীতে প্রতিবারের মতো এবারও চাহিদার চেয়ে বেশি গরু রয়েছে খামারিদের কাছে। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার গরু দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হবে।
খামারিরা জানান, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খুদের ভাত, আলু, খেসারি, মসুর, চিটাগুড়, লবণ, খড় ও ধানের গুঁড়া খাইয়ে গরু মোটা তাজাকরণ করা হয়েছে। সদরের একটি ফার্ম কোরবানির গরু মণ দরে বিক্রি শুরু করেছে। জেলার সৈয়দপুরের ইউসুফ ডেইরি ফার্ম কোরবানির গরু ক্রয় করে খামারে রাখার ব্যবস্থাসহ কোরবানির অফার দিয়ে গরু বেচাকেনা করছে।  

জেলার ঢেলাপীর হাট, শাখামাঁচা হাট, মীরগঞ্জ হাট, বোড়াগাড়ি হাট, তারাগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, এসব হাটবাজারে কোরবানির গরু উঠতে শুরু করেছে। ঝামেলা এড়াতে অনেকে এসব হাটে কোরবানির গরু খুঁজে নিচ্ছেন। প্রতি বছরের চেয়ে এবার প্রতি গরুতে ১০-২০ হাজার অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

জেলা পশুপালন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় প্রায় ২ লাখ ৯৮৯টি গরু পালন করেছেন খামারিরা। এসব গরু পালনে তাদের কর্মীরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন।  

তারা খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করেছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী বলেন, কোরবানির ঈদে নিরাপদ মাংস যাতে মানুষ পায়, সে জন্য আমরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।  

নীলফামারী জেলায় প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারি রয়েছেন ৩০ হাজার ৬৮৮ জন। অধিকাংশ প্রান্তিকসহ বড় খামারের পশুগুলো হৃষ্টপুষ্ট হয়ে বাজারে তোলার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।