ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢালাওভাবে প্রকল্প নেওয়া যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
ঢালাওভাবে প্রকল্প নেওয়া যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ঢালাওভাবে যেন প্রকল্প না নেওয়া হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার প্রতি জোর দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, আমাদের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি ঘুরছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের দিকে আমরা যাচ্ছি, প্রকল্প মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

আমরা যা করছি এটা নিয়মিত কাজ, প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ অপচয় হয়, তাই ঢালাওভাবে যেন প্রকল্প না নেওয়া হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২২ এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, আমার ধারণা প্রকল্পের মধ্যে অর্থের অপচয় হয়। ওখানে ভালো মানের গাড়ি পাওয়া যায়, ভালো মানের ভবনে অফিস করা যায়। যে কারণে কর্মকর্তারা সেখানে যেতে বেশি আগ্রহী হয়। এসভিআরএস কার্যক্রম সরকারের রাজস্ব বাজেটের অধীনে নিয়ে আসা উচিত। আমরা অর্থনৈতিক সংকটে নেই, চাপ আছে। সংকটে থাকলে তো কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও বোনাস দিতে পারতাম না। বর্তমানে কিছু সমস্যা চলছে সেটা দ্রুতই সমাধান হবে।

সব কাজে স্বাবলম্বী হতে হবে বলে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, সব কাজে আমাদের নির্ভরযোগ্য তথ্য হতে হবে, আগামীতে যে কাজ করবো, সময় ঠিক করে কাজ করবো, সময়টা পুরোমাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। নানা ধরনের প্রকল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এগুলো গুছিয়ে আনেন এবং সময় বেঁধে দেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী  শামসুল আলম বলেন, দেশের মেধা যে হারে পাচার হচ্ছে, অর্থ পাচারের চেয়েও এটি আমাদের জন্য বেশি ভয়ংকর হবে। দেশ থেকে মেধা যদি সব চলে যায় তাহলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা কীভাবে করবো। তবে সবকিছু আলোচনায় এলেও মেধা পাচার আলোচনায় কম আসে। কিন্তু মেধার পাচার ঠেকাতে আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি (চলতি দায়িত্ব) পরিমল চন্দ্র বসু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।