ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগামী বিশ্বের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার আহ্বান

মহিউদ্দিন মাহমুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আগামী বিশ্বের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার আহ্বান বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেনেভা (সুইজারল্যান্ড) থেকে: নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থাগুলোর কাছে এই উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন।

বুধবার (১৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালাইস ডেস ন্যাশন্সে দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার’ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার আগে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ব্যবস্থা বদলে যাচ্ছে।  নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে। আমরা চাই কাউকে যেন তাদের চাকরি হারাতে হয়। তাই চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমাদের প্রয়োজন শিক্ষা।

তথ্য-প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে, ডিজিটাল ডিভাইস কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটাও শিখতে হবে। এ এক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণকে আরও বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যাতে জনগণ দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, আমাদের দেশে আমরা এটি করছি।

বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, স্কুলপর্যায় থেকে আমাদের ডিজিটাল ল্যাব এবং কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। এরপর প্রশিক্ষণ এবং ইনকিউবেশন সেন্টার আছে, যাতে তরুণ প্রজন্ম প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আমরা আমাদের জনগণকে প্রস্তুত করছি।

‘সামাজিক ন্যায়বিচারকে’ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর কেন্দ্রে রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচারকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর কেন্দ্রে রাখা প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী শান্তি অথবা টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না।

সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশে বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আছে। এটি শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ ও শিক্ষার্থীদের জন্য। কর্মজীবী ও স্তন্যদাত্রী মা এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও এর আওতায়। সরকার তাদের ভাতা দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মতো করে সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি। কিন্তু আমি মনে করি, এটি আরও ব্যাপকভাবে হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উদ্যোগ নিতে পারে এবং কোন মানুষ যাতে পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে মানুষের জন্য সহায়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।