ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় এলো কিউআর কোডযুক্ত স্মার্টকার্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় এলো কিউআর কোডযুক্ত স্মার্টকার্ড

ঢাকা: বিদেশে যাওয়ার আগে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করা নিয়ে বছরের পর বছর নানা জটিলতার শিকার হয়ে আসছেন বিভিন্ন দেশে যাতায়াতকারী কর্মীরা। এ কার্ডটি মূলত গুরুত্বপূর্ণ ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হিসেবে কাজ করে।

যা একজন কর্মীর বিদেশে যাওয়ার সরকারি অনুমোদনপত্র হিসেবেও গৃহীত হয়।

বিএমইটি স্মার্ট কার্ড মূলত ভিসা, মেডিকেল রেকর্ড, ব্যাংক তথ্য ও বিদেশি চাকরির সত্যতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ যাচাই করার কাজে লাগে। ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের সুবিধা ও সহজীকরণে পূর্ববর্তী সময়গুলোয় অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীদের একটি প্রিন্টেড বিএমইটি স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে হতো, যা প্রায়ই বিলম্বিত হতো এতে তৈরি হতো বিদেশ যাত্রায় প্রতিবন্ধকতা।

সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি’র সহযোগিতায় অ্যানালগ ও জটিল প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল অভিবাসনে এবার যোগ হয়েছে ডিজিটাল স্মার্ট সেবা। অনলাইন ক্লিয়ারেন্স অ্যাপ্লিকেশন এবং ডিজিটাল কিউআর কোডভিত্তিক স্মার্ট কার্ড চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো বিদেশগামীকে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের জন্য বিএমইটিতে ঘুরতে হবে না।

বিদেশে যাওয়ার যাবতীয় কাগজ পত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার পর পর সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারী সেখান থেকেই স্মার্ট কার্ড নিতে পারবেন। ফোনসহ সুবিধাজনক মাধ্যমেও স্মার্টকার্ড ডাউনলোড করা যাবে। এতে করে প্রিন্টেড কার্ডের জন্য অপেক্ষা বা শেষ মুহূর্তে স্মার্ট কার্ডের জটিলতার অবসান হচ্ছে।

এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষাণ ব্যুরোর ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার বাংলাট্র্যাক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আমি প্রবাসী লিমিটেড। বাংলা ট্র্যাক গ্রুপের পরিচালক নামির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আমি প্রবাসী অ্যাপ ও পোর্টালে কার্যক্রমটি পরীক্ষামূলকভাবে চললেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনলাইন স্মার্টকার্ড ও কিউআর কোডভিত্তিক স্মার্টকার্ডের সুবিধাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।

এ সেবার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল অভিবাসন স্মার্ট অভিবাসনে রূপান্তরিত হলো। সরকার প্রধানের ঘোষণা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণেও এ সেবা ভূমিকা পালন করবে। আগে একজন বিদেশগামীকে দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত বিএমইটি স্মার্টের অপেক্ষায় নানা জটিলতায় পড়তে হতো। এখন থেকে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।

বিএমইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ সেবায় তাদের কর্মতৎপরতা আরও স্মার্ট ও তড়িৎ। ক্লিয়ারেন্সের আবেদনটি অনলাইন হওয়ায় তাদের প্যানেল ব্যবহার করে খুব সহজেই দ্রুত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন করা যাচ্ছে। আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্মের অটোমেটেড ভেরিফিকেশন প্রসেস অভিবাসন প্রক্রিয়ার প্রায় সব ধরনের তথ্য যাতে সুষ্ঠুভাবে একটি ইকোসিস্টেমের মধ্যে অবস্থান করে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে।

যেভাবে পাওয়া যাবে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড
বিএমইটি স্মার্ট কার্ড পেতে আমি প্রবাসী অ্যাপে যাবতীয় কাগজপত্র দিয়ে প্রত্যাশীকে অনলাইন ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরপরই অভিবাসন প্রত্যাশীরা তাদের তাদের মুঠোফোনে স্মার্টকার্ডটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড অথবা প্রিন্ট করতে পারবেন। কিউআর কোডের মাধ্যমে স্মার্টটি বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেও দেখা যাবে। ফলে স্মার্ট কার্ডটি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই।

এতে সময় ও অর্থের অপচয় হ্রাসের পাশাপাশি প্রিন্টেড কাগজের প্রয়োজনীয়তাও কম হচ্ছে। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে প্রার্থীরা নিজেদের অনুমোদিত ফাইলের অবস্থানও নির্ণয় (ট্র্যাকিং) করতে পারছেন।

এ পদ্ধতির কারণে বিমানবন্দরের দীর্ঘ লাইন কম হবে বলে মনে করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।