ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোটালীপাড়ায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট      | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
কোটালীপাড়ায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানববন্ধন

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় খাল বিল, দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি।

শনিবার ((১৭ জুন) উপজেলার পারকোনা বিলে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।


 
এ সময় দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি সভাপতি নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বুলু, কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হায়দার হাজরা, যুবলীগ নেতা মুন্সী মিরাজ, শেখ আজিজ, সাংবাদিক মাহবুব সুলতান বক্তব্য রাখেন।  

জানা গেছে, প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে একের পর এক বিল। অপরিকল্পিতভাবে কাটা হচ্ছে মাছের ঘের। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য।

ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন আইন থাকলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই আইনের তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে কেটে যাচ্ছে একটার পর একটা মাছের ঘের। দখল করে নিচ্ছে সরকারি খাল ও জলাভূমি।  

কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হায়দার হাজরা বলেন, চায়না ম্যাজিক জাল দিয়ে নির্বিচারে দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে। আমরা এই দেশীয় মাছ রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বুলু বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিলে ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন আইন না মেনে অনেকেই অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের কেটে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। এই অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের কাটার ফলে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। তাই আমরা এই অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের কাটা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।  

দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু বলেন, উপজেলার বিভিন্ন বিলের সরকারি খাল ও জলাভূমি দখল করে মাছের চাষ করছে। এর ফলে দেশীয় মাছ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই খালগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি খাল ও জলাভূমি দখলমুক্ত না করা হয় তাহলে আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন আইন মেনে পরিকল্পিতভাবে যাতে মাছে ঘের কাটা হয়, সেজন্য আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। যদি কেউ এই আইন না মেনে ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন ঘটায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।