ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতায় দায়ীদের বিচার করতে হবে

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতায় দায়ীদের বিচার করতে হবে

ঢাকা: জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এই নৃশংসতা প্রতিরোধ ও দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সোমবার (১৯ জুন) সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

মহাসচিব বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতিতে যৌন সহিংসতা হলো যুদ্ধ, নির্যাতন ও দমনপীড়নের কৌশল। এটি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে।

তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্ব থেকে আসা এ সংক্রান্ত মর্মান্তিক প্রতিবেদনগুলো ভয়াবহভাবে মনে করিয়ে দেয় যে, এই ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূলে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তা অব্যাহত রয়েছে। আর এজন্য দায়ীদের অনেকেই কখনো বিচারের মুখোমুখি হয় না। যদিও সামাজিক কলঙ্কের কারণে বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের যেখানে সম্মানহানির ভয়ে থাকতে হয়, সেখানে অপরাধীরা মুক্তভাবে চলাফেরা করে। ’

‘সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা বেঁচে থাকা ভুক্তভোগী এবং তাদের প্রতি সমর্থনকারী সবার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে আমরা নৃশংসতা প্রতিরোধ ও দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’

‘যার মানে হলো, বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের কথা শোনা। এর অর্থ হলো, সরকারগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনকে তাদের জাতীয় আইন, সামরিক নিয়ম ও প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করছে। একইসঙ্গে এর অর্থ হলো, অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা, যাতে তারা বিচারের মুখোমুখি হয়। আমাদের অবশ্যই এই বিশ্বাসের মুখোমুখি হতে হবে যে, যৌন সহিংসতার জন্য অপরাধী যোদ্ধাদের দায়মুক্তির ঘটনা ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে পারে। ’

এ বছরের ‘সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিক দিবস’ প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বিভাজনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

‘ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি মানুষকে বিপদের বিষয়ে সতর্ক করতে পারে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাতে এবং সহায়তা পেতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি এটি দায়বদ্ধতার প্রতি প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত ও যাচাইয়ের উপযোগী করে। তবে এটি সহিংসতাকে স্থায়ী রূপ দিতে পারে, বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের ক্ষতি করতে পারে এবং ঘৃণা জাগ্রত করতে পারে। প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি ও লোকজনকে অনলাইনে তাদের কার্যক্রমের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনার মাধ্যমে প্রযুক্তি যাতে এসব অপরাধ প্রতিরোধ ও নির্মূলে আমাদের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে, তা অবশ্যই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
টিআর/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।