গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় পেট্রল ছোড়ে নানি-নাতনিকে দগ্ধের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন-ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকার গোলাম মোস্তাফার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৬)। গ্রেপ্তার সাব্বির হোসেন দগ্ধ সানজিদার সৎ ভগ্নিপতি।
রোববার (১৮ জুন) রাতে এ ঘটনায় স্কুলছাত্রী দগ্ধ সানজিদার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে। তবে সানজিদার সৎ ভাই পলাতক রয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় সৎ ভাইয়ের নিক্ষিপ্ত পেট্রল বোমায় নানি-নাতনি দগ্ধ হয়। পরে তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন- গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৩) ও তার নানি বেবী বেগম (৫৫)।
জানা গেছে, সানজিদা আক্তারের মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা শফিকুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মনিরা বেগমের প্রথম পক্ষের শুভ মিয়া (২০) নামে এক ছেলে রয়েছে। শুভ তার মায়ের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের বাড়িতে থাকতো। কয়েকদিন আগে শুভ বাড়িতে একটি মেয়ে নিয়ে আসে। এ বিষয়টি সানজিদা আক্তার তার বাবাকে জানায়। পরে সানজিদার বাবা শফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে শুভকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় মনিরা বেগমও বাড়ি থেকে চলে গিয়ে স্বামী শফিকুল ইসলামকে তালাকনামা পাঠায়। পরে শফিকুল ইসলাম তার মেয়ে সানজিদাকে দেখাশোনার জন্য সানজিদার নানিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রোববার দুপুরে নানির সঙ্গে সানজিদা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে শুভ ও তার সহযোগী সাব্বির (২৬) মোটরসাইকেলযোগে এসে বোমা সদৃশ বস্তুতে পেট্রল মিশিয়ে আগুন ধরিয়ে সানজিদা ও তার নানির শরীরে ছুড়ে মারে। এতে নানি ও নাতনি দগ্ধ হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ নানি-নাতনির শরীর ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় দগ্ধ সানজিদার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে সৎ ভগ্নিপতি সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
আরএস/জেএইচ