বরিশাল: আর তিনদিন পরে ঈদুল আজহা। আর এ ঈদ মানেই পশু কোরবানি।
বিভিন্ন বাজার ও কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামারের দোকানগুলো। তবে এবছর লোহা আর কয়লার দাম বেশি হলেও সেই তুলনায় বেশি মজুরি নিতে পারছেন না তারা। তাই বেশি লাভের আশা করছেন না দোকানিরা।
বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা, বড় ছুরি ৫০০-৭০০ টাকা এবং বটি তৈরিতে হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা মজুরি নেওয়া পর্যন্ত।
রাজিহার গ্রামের কামার শিল্পী অশোক সরকার, বাসুদেব দাশ জানান, কোরবানির দিন যত ঘনিয়ে আসছে কাজের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। অধিক পরিশ্রম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময়ে বাড়তি রোজগারের আশায় পথ চেয়ে থাকেন কামারপাড়ার শিল্পীরা।
অশোক সরকার আরও জানান, এখন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। কামারদের কেউ ব্যস্ত নতুন দা-বটি তৈরিতে, আবার কেউ ব্যস্ত পুরোনো দা, বটি, ছুরি, চাপাতিতে শান দিতে। তবে নতুন কাজের চেয়ে গৃহস্থদের কাছে পশু জবাইয়ের জন্য পুরোনো গুলোতেই শান দিতে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তাই গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে আগে থেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোক রেখেছেন তারা।
দেখা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজার, রাজিহার, গৈলা বাজার, গুপ্তেরহাট বাজার, সাহেবেরহাট, বাশাইল, পয়সারহাট, ছয়গ্রামসহ বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছে কামাররা।
শান দেওয়া নতুন দা, বটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। দোকানের জ্বলন্ত আগুনের তাপে কামার শিল্পীদের শরীর থেকে ঝড়ছে অবিরাম ঘাম। চোখে মুখে প্রচণ্ড ক্লান্তির ছাপ। তবুও তারা থেমে নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে তাদের কাজের ব্যস্ততা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এমএস/এসএম/এসআরএস