ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমিকার বাসায় মারধরে আহত প্রেমিক মারা গেলেন ঢামেকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
প্রেমিকার বাসায় মারধরে আহত প্রেমিক মারা গেলেন ঢামেকে প্রতীকী ছবি

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া প্রান্ত দাস (২০) নামে এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  

রোববার (২৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আড়াইহাজার উপজেলার কলাকাচিয়া গ্রামের বকুল চন্দ্র দাসের ছেলে প্রান্ত দাস। পাশের এলাকার একটি সেলুনে কাজ করতেন তিনি।  

এই ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে রাজি নন নিহতের পরিবার।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মারধরের শিকার হয়ে প্রান্ত মারা গেছে বলে জানা গেছে। তবে তার পরিবার কোনো অভিযোগ করতে রাজি হয়নি। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালে প্রান্তর বাবা বকুল চন্দ্র দাস ও চাচা অনুকূল চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, গত বুধবার রাতে তারা খবর পান একই গ্রামের বাবুল চন্দ্র দাসের বাড়িতে আটকে রেখেছে প্রান্তকে। তখন ওই বাড়িতে গেলে বাবুল চন্দ্র দাস তাদের কাছে অভিযোগ করে, চুরির উদ্দেশ্যে তাদের বাসায় গিয়েছেন প্রান্ত। তখনই তাকে হাতেনাতে আটক করেছে তারা। রাতেই গ্রাম্য বিচারকদের সাহায্যে প্রান্তকে তারা সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

তারা আরও জানান, বাবুলের মেয়ের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রান্তর। বিষয়টি এলাকার কমবেশি সবাই জানতো।  
বুধবার রাতে মেয়ে প্রান্তকে ফোন করে ডেকে তাদের বাড়িতে নেয়। তখনই ওই মেয়ের বাবা বাবুল এবং বড় ভাই সাগর তাকে আটকে হাত পা বেঁধে মারধর করে।

ঘটনার পরের দিন প্রান্ত মারধরের কথা তাদের কাছে জানায়। তখন তার পিঠে পুরো অংশে রক্ত জমাট বাধা অবস্থায় দেখতে পান তারা। ওই দিন স্থানীয় হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।  

এরপর আজ (রোববার) সকালে তাকে আবার আড়াইহাজার উপজেলায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান তারা। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।

প্রান্তর মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকেই তার প্রেমিকার বড় ভাই সাগর চন্দ্র দাসকে আটক করে হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশ।  

তবে এই ঘটনায় মৃত প্রান্তর পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে রাজি নন। গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।