ঢাকা: প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল আজহায় বন্দীদের জন্য রয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা। গত ঈদুল ফিতরে বন্দীদের জন্য যেসব খাবারের মেনু ছিল, সেই একই খাবারের মেনু এইবারও থাকছে।
সোমবার (২৬ জুন) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে ডেপুটি জেলার জহুরা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, ঈদুল ফিতরে বন্দীদের জন্য বিশেষ খাবারের মেনু যেটা ছিল, এবার ঈদুল আজহার সেই একই মেনু রাখা হয়েছে।
ঈদুল আজহায় বন্দীরা পোলাও চালের পায়েসের সঙ্গে মুড়ি দিয়ে নাস্তা করবেন। পাশাপাশি দুপুরে থাকবে পোলাও, মুরগির রোস্ট, গরুর গোস্তের ভুনা। এছাড়া যারা গরু খাবেন না তাদের জন্য রয়েছে খাসির মাংস। পাশাপাশি কাগজী লেবু ও শশার সঙ্গে থাকবে কোমল পানীয় ও চমচম মিষ্টি। রাতের খাবারের মেনুতে থাকবে সাদা ভাত, রুই মাছ, ডিম ও আলুর দম। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বন্দীদের জন্য এবারও থাকছে পান সুপারি।
তিনি বলেন, সব আইটেমের পাশাপাশি সকালের নাস্তায় পায়েস খুব উন্নতমান করে রান্না করা হবে। পোলাউয়ের চাল দিয়ে কিসমিসসহ যতরকম মশলার আইটেম থাকে সব দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির পরপরই সঠিক হিসাব জানা যাবে কতজন বন্দীর জন্য রান্না করা হবে। তবে আপাতত একটা ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) সাড়ে আট থেকে নয় হাজার বন্দীর জন্য বিশেষ খাবার রান্না করা হতে পারে।
এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, গত ঈদুল ফিতরে অতিরিক্ত গরম থাকায় বন্দীদের কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে এইবার ঈদুল আজহায় বন্দীদের জন্য কারাগারে নানারকম বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। গান বাজনার পাশাপাশি আরও অনেক কিছু থাকবে।
বন্দীদের নিয়ে কারাগারের ভিতরে ময়দানে ঈদ জামাত আদায় করার কথা রয়েছে। যদি বৃষ্টি থাকে তাহলে যার যার ওয়ার্ডে তারা জামাত আদায় করবে। এছাড়া ঈদের দিন স্বজনরা বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্বজনরা বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসলে, নিয়ম অনুযায়ী বন্দীদের সেটা দেওয়া হবে। পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলেও কথা বলতে পারবেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
এজেডএস/এসআইএ