ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারে সরকারি জমি দখলে বেপরোয়া রফিক সিন্ডিকেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
কক্সবাজারে সরকারি জমি দখলে বেপরোয়া রফিক সিন্ডিকেট

কক্সবাজার: কক্সবাজারের কলাতলী বাইপাস সড়কে পুলিশ লাইনের পাশে চিহ্নিত একটি ভূমিদস্যু চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।  

দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি ওই স্থানে পাহাড় ও পাহাড়ি পানি চলাচলের নালা দখল করে বহুতল ভবন ও টিনশেড কলোনি তৈরি করে দখল অব্যাহত রেখেছে।

সম্প্রতি চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে পাহাড় ও নালায় রোহিঙ্গা পল্লি তৈরির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসি, প্রশাসন জানিয়েছে রফিকুল ইসলাম ও খাইরুল আমিন নামের ২ প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে চলছে এই অপকর্ম।

পুলিশ লাইনের পেছনের দক্ষিণের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে সরকারি টিলা কেটে একটি চার তলা ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভবনটির দেয়ালের আস্তর এখনও দেওয়া হয়নি। সেই ভবনের পূর্বপাশে ইটের দালান ও টিনশেড কলোনি রয়েছে রফিক চক্রের। একই ব্যক্তি পুলিশ লাইনের পশ্চিমের দেয়াল ঘেঁষে রাস্তার ধারে নালা দখল করে তৈরি করেছেন টিন শেড কয়েকটি ঘর ও ভবন। নালা দখল করে তৈরি করা অবৈধ স্থাপনায় সাইন বোর্ড দিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে দখলদারের নাম। যেখানে এই দখলটি নিজের মালিকানা বলে দাবি করেছে রফিকুল ইসলাম নামের এই ব্যক্তি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত এক যুগ ধরে রফিকুল ইসলাম একটি নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে এই দখল অব্যাহত রেখেছেন। বিভিন্ন সময় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান ও মামলা করলেও তা বন্ধ করা যায়নি। এর মধ্যে টিন শেড কলোনি, নালা দখল করে তৈরি হওয়া ঘরে রোহিঙ্গাদের এনে বসবাস করানো হচ্ছে। সম্প্রতি নতুন করে মাটি কেটে রোহিঙ্গা পল্লি স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন এই রফিকুল ইসলাম ও খাইরুল আমিন।

কক্সবাজার সরকারি কলেজের পেছনের বিশাল পাহাড় দখল ও কেটে বিক্রি, বাঁকখালী নদীর তীর দখল, বালিকা মাদ্রাসার পাশের ঝাউবাগান দখল করে বিক্রির ঘটনায়ও মামলা রয়েছে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।  

সম্প্রতি দখলের খবর পেয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ভূমি অফিস ঘটনাস্থলে যান। এই সময় টিনশেড কলোনি বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নিদের্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তা অমান্য করে নতুন করে পাহাড় কেটে দখল অব্যাহত রাখা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, পাহাড়ের ভবনটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে নেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন করে দখলের খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দখল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতাও পেয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাও দায়ের করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩ 
এসবি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।