সিলেট: আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এবার মহানগরসহ জেলায় ছোট-বড় তিন হাজার ২৩টি ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৮ জুন) সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সিলেট মহানগরের শাহী ঈদগাহ ময়দানে। নামাজের আগে বয়ান পেশ করবেন ও ইমামতি করবেন বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা কামাল উদ্দিন।
দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) জামে মসজিদে জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মুফতি মাওলানা আসজাদ হোসাইন।
প্রতি বছরের মতো নগরের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে তিনটি জামাত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, ইমামতি করবেন শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী। দ্বিতীয় জামাত হবে ৮টায়, ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা মিফতাহুদ্দীন এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ। কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের সেক্রেটারি মুকতাবিস উন নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৭ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই জামাতে মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে একটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে থাকছেন হাফেজ মাওলানা শাহ আলম। এছাড়া মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেশিরভাগ ঈদগাহ ও মসজিদে সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বাংলানিউজকে বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকার প্রায় ৪৩৭টি জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৯০টি ঈদগাহ ও ২৪৭টি মসজিদ রয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের দিন পোষাকে-সাদা পোষাকে অন্তত অন্তত ৪০০ পুলিশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। ঈদের প্রধান জামাত হবে শাহী ঈদগাহে। সেখানে অন্তত ১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নগরের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৯টি চেকপোস্ট থাকছে। আর ঈদের আগে ও পরবর্তী সময় নগরের নিরাপত্তায় সিআরটি ও পেট্রোল টিমসহ ৩০০ ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া সহকারী (পরিদর্শক) শ্যামল বণিক জানান, জেলার বাকি ১১টি উপজেলার মোট দুই হাজার ৫৮৬টি মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে জেলার বিশ্বনাথে ৩৫৪টি মসজিদ ও ৪০টি ঈদগাহে, ওসমানী নগরের ৬৫টি মসজিদ ও ৩২টি ঈদগাহে, বালাগঞ্জের ১৩২টি মসজিদ ও ২৫টি ঈদগাহে, গোলাপগঞ্জের ২০৫টি মসজিদ ও ১৬টি ঈদগাহে, ফেঞ্চুগঞ্জের ১১৬টি মসজিদ ও ২২টি ঈদগাহে, বিয়ানীবাজারের ২৮৫টি মসজিদ ও ৬৫টি ঈদগাহে, জকিগঞ্জের ৩৯৭টি মসজিদ ও ৬৩টি ঈদগাহে, কানাইঘাটের ২১৫টি মসজিদ ও ১৪টি ঈদগাহে, জৈন্তাপুরের ১০৯টি মসজিদ ও ২৮টি ঈদগাহে, গোয়াইনঘাটের ২২৬টি মসজিদ ও ২০টি ঈদগাহে এবং কোম্পানীগঞ্জের ১৩৫টি মসজিদ ও ২২টি ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এসব ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের দিন সকাল থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এনইউ/এসআইএ