ঢাকা: রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষরা বিভিন্ন এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিনব্যাপী সংগ্রহ করেছেন কোরবানির মাংস। এছাড়া কসাইয়ের কাজ করেও মাংস পেয়েছেন মৌসুমি কসাইরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ মোড়, মালিবাগ, গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রেতাই নয়, ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
খিলগাঁও এলাকায় মৌসুমি কসাইয়ের কাজ করেছেন রহিম মিয়া। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে রিকশা চালাচ্ছি ১০ বছর ধরে। আর প্রতিবছর কোরবানি এলেই এদিন কসাইয়ের কাজ করি। ৪ জায়গায় কাজ করে ১৫ থেকে ১৬ কেজির মতো মাংস পাইছি। সেটা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
কসাইদের মাংস আর বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করা মাংস ছিন্নমূল মানুষ থেকে কিনে ভ্রাম্যমাণ দোকান দিয়েছেন সোবহান আলী।
তিনি বলেন, কসাইদের মাংস আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করা মানুষের কাছ থেকে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আর বিক্রি করছি ৭৫০-৮০০ টাকায়।
পাশের বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, সাধারণ অনেক মানুষের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। বাজারে এখন দাম বেশি এজন্য অনেকে এখান থেকে মাংস নিচ্ছেন। আর কোরবানির মাংসও তাজা, তাই নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নেই। সেজন্য বেচা-বিক্রি ভালো।
এ দোকানে মাংস কিনতে আসা এক ক্রেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বাজারে এবার দাম বাড়তি সবকিছুর। কোরবানি দিতে পারিনি। কিন্তু ছেলে-মেয়েরা তো মাংস খেতে চায়। তাই কম দামে এখান থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে দুই কেজি মাংস কিনলাম।
রিকশাচালক সেলিম মিয়া বলেন, সারাদিন রিকশা চালিয়ে যা আয় সেটা দিয়ে ভালো মাংস কেনা সম্ভব না। সেজন্য এখান থেকে এক হাজার টাকা দিয়ে দেড় কেজি মাংস নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এনবি/আরবি