ঢাকা: রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় সড়কের পাশে বসে ভাত খাচ্ছেন কয়েকজন। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত সঙ্গে মুরগির সালুন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদুল আজহার নামাজের পরপর ছিন্নমূল মানুষের ঈদ পালনের মুহূর্ত খুঁজতে গিয়ে তার দেখা পায় বাংলানিউজ।
আবদুল জব্বার বলেন, ‘রাজধানীর মহাখালী এলাকার সাততলা বস্তিতে থাকেন তিনি। দিনমজুরি পেলে করেন, না পেলে করেন না। সেখানে ঈদের তেমন আমেজ নেই’।
তিনি বলেন, ‘বউ-বাচ্চাডি বাইর হয়া গেছে সকালে। এর-তার কাছ থিকা মাংস যদি চায়া আনে, ওইটা রান্ধার মসলাপাতিও আবার আরেকজনের কাছে চায়া আনতে হয়। এমন অবস্থা’।
মগবাজার এলাকায় ফুটপাতে ভিক্ষা করছিলেন ষাটোর্ধ হারেছ মিয়া। জিজ্ঞেস করতে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন বলে তো আর ছুটি নেই। ভিক্ষা করতেই হয়। না করলে খাবার জোটে না। তবে আজ অভ্যাসবশত এসেছি। ফিরে যাব একটু পর। টোকায়ে পাওয়া গোশত রান্না হচ্ছে।
রাজধানীতে বসবাসকারী ছিন্নমূল মানুষের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ২০১৪ সালের দুই সিটি করপোরেশনের এ সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যানের জের ধরে বলা যায় প্রায় ৩ লাখের মতো মানুষ আছেন এ তালিকায়। সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের কাছে ঈদ এলে আলাদা গুরুত্ব নিয়ে আসে না। অন্য যেকোনো দিনের মতো কেটে যায় ঈদ।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৩
এমকে/আরবি