ঢাকা: দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ঈদের দ্বিতীয় দিনও বৃষ্টি হয়েছে। এদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয় রাজধানীতে।
চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্টরা জানায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লেও দুপুর ২টার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে বিকেলে যে পরিমাণ দর্শনার্থী আসার কথা ছিল তা আসতে পারেনি।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় এমন চিত্র দেখা যায়।
চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকের সামনে হকার (বাদাম বিক্রেতা) মো. ইব্রাহিম বলেন, বেলা ১১টার পর থেকে বেশ দর্শনার্থী আসে। তবে দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিকেলে দর্শনার্থী যেমন আসার কথা ছিল তেমন আসেনি। এ কারণে আজ আমার বেচাবিক্রিও তেমন হয়নি।
এদিন বিকেলে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দর্শনার্থী এলেও ঘুরে দেখতে পারেননি বেশিরভাগ মানুষ। বিভিন্ন ছাউনি ও গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করতে দেখা যায় বেশিরভাগ দর্শনার্থীকে। বাঘ, ভালুক, সিংহ, হরিণ, বানর, জলহস্তী, জিরাপসহ বেশিরভাগ পশু-পাখির শেডে ছিল না ভিড়।
টঙ্গির কামারপাড়া থেকে চিড়িয়াখানা এসেছেন মো. কাদের। তিনি বলেন, আমি আর আমার বন্ধু মিলে এখানে ঘুরতে এসেছি দুপুর বেলায়। আসার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঠিকমতো ঘুরে দেখতে পারলাম না। আবার আসতে হবে কোনো এক ছুটির দিন।
সিয়ামসহ আরও ছয় বন্ধু মিলে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে চিড়িয়াখানায় এসেছেন। তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো ঘুরতে পারলাম না। আমাদের ঈদের আনন্দ অনেকটা মাটি হয়ে গেল বৃষ্টির কারণে। অনেক ইচ্ছে ছিল ঘুরে ঘুরে পশুপাখিগুলো দেখবো। বিভিন্ন খাঁচার সামনে ছবি তুলবো, কিছুই করতে পারলাম না এ বৃষ্টির কারণে।
মিরপুর এক নম্বর থেকে সপরিবারে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন চাকরিজীবী মো. হিমেল। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে এবার ঈদে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। বাসার কাছে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে বাধা হয়ে দাঁড়ালো বৃষ্টি। বাচ্চাদের জন্য মূলত আসা। ওদের চিড়িয়াখানা পুরো ঘুরিয়ে দেখাতে পারলাম না কাদা আর বৃষ্টিতে। অন্য কোনো ছুটির দিন আবার আসতে হবে।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আশার তুলনায় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী আজ অনেক কম। ঈদের দ্বিতীয় দিন চিড়িয়াখানায় সারাদিনে দর্শনার্থী এসেছে প্রায় ৪৫ হাজার। দর্শনার্থী না আসার মূল কারণ বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৩
এমএমআই/আরবি