ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আশুলিয়ায় বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া সেই শিশুর মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৩
আশুলিয়ায় বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া সেই শিশুর মৃত্যু হুমায়রা

ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় নিখোঁজের পর বস্তাবন্দি উদ্ধার হওয়া শিশু হুমায়রা ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে।

শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা আজিজুল ইসলাম। তিনি জানান, হাসপাতালের ২২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল তার মেয়ে। সেখানেই মারা গেছে সে। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

আশুলিয়ার জিরাবো পুকুরপাড় এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজিজুল ইসলাম ও জোসনা বেগম দম্পতির মেয়ে হুমায়রা গত ২৪ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট হুমায়রা। বাবা আজিজুল সবজি বিক্রেতা। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামে।

ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম জানান, ওইদিন সকাল ১০টার পর থেকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তার মেয়েকে। পরে বিষয়টি পরিবারের সবাই জানাজানি হলে এলাকাতে মাইকিং করে নিখোঁজের সন্ধান চাওয়া হয়।

ওই এলাকার ইটনাইট পাবলিক স্কুলের শিক্ষক জয়নাল আবেদিন তুহিন জানান, ২৪ জুন বেলা আড়াইটার দিকে এক পথশিশু স্কুলের পেছনের গলিতে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে ঢুকলে সে একটি প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পায়। তখন সেটি খুলে ভেতরে ওই শিশুকে দেখতে পায়। সে আশপাশের লোকজনকে ডাকলে সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, বস্তার ভেতরে অচেতন অবস্থায় একটি মেয়ে শিশু। তার গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো। তারা ধারণা করেন মারা গেছে শিশুটি। বস্তা থেকে বের করে বাইরে এনে তার মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দেওয়া হয় নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর তার বাবা-মা খবর পেয়ে সেখান থেকে শিশুটিকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে।

শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, তাদের বাড়ির পাশেই শাহিনা নামে এক নারীর সঙ্গে প্রায় সময় তাদের পরিবারের ঝগড়া হতো। এর আগে শিশুটির পরিবারের আত্মীয় অন্য দুই শিশু শাহিনার কাছে গিয়ে পৃথক দুই দিন শরীরে ছ্যাঁকা লাগে। এটি নিয়ে শাহিনার সঙ্গে তাদের ব্যাপক ঝগড়া হয়। পরিবারটির সন্দেহ, সেই ঝগড়া কেন্দ্র করেই শাহিনা শিশু হুমায়রাকে হত্যা করার জন্য গলায় গামছা পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে চিপা গলিতে ফেলে রাখতে পারে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

** বস্তা খুলতেই মিলল নিখোঁজ শিশু

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।