ঢাকা: আগামী তিন বছরের মধ্যে আধুনিক নৌপথ এবং নিরাপত্তার জন্য যেই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নদীমাতৃক এই দেশে নৌপথ আছে। কিন্তু নৌপথের নিরাপত্তার জন্য যেই ধরনের প্রস্তুতিগুলো থাকা দরকার। সেই প্রস্তুতি ১৫ বছর আগে ব্যাপক সংকট ছিল। আমরা ১৫ বছরে নৌপথ তৈরি করার জন্য ড্রেজার সংগ্রহ, এই ধরনের দুর্ঘটনায় যাতে প্রকৃতির বিপর্যয় না হয়, সেজন্য ইকুইপমেন্ট বা উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা এই সময়ে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আরও প্রস্তুতি আছে। আমাদের যেই ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ, তার থেকে আরও বেশি ভেবি জাহাজের জন্য ডিপিপি করেছি, প্ল্যানিং কমিশনে আছে। নৌপথ নিরাপদ রাখার জন্য আমরা ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছি। খুব আধুনিক নৌপথ এবং নিরাপত্তার জন্য যেই ধরনের ব্যবস্থা, আমরা আগামী তিন বছরের মধ্যে নিশ্চিত করতে পারবো।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদরঘাটে আগুন লাগা লঞ্চ এমভি ময়ূর-৭ এবং সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগা তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে। সদরঘাটে সেটা ময়ূর-৭, সেটা বার্দিং করা ছিল। সেখানে কোনো যাত্রী ছিল না। সেখানে যারা স্টাফ ছিল, সেই স্টাফদের রুমে আগুন ধরে যায়। প্রাথমিকভাবে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফায়ার ফাইটাররা খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং কোনো হতাহত হয়নি। তবে সেই লঞ্চটা পুরোটাই পুড়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বলতে পারি এখানে যেই ধরনের ক্লাস মেইনটেইন করার কথা একটা লঞ্চ চলাচলের জন্য, সবগুলো সেখানে সার্টিফাইট ছিল। কেন হয়েছে, শিপিংয়ের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে, তদন্ত রিপোর্ট এলেই আমরা জানতে পারবো। এই মুহূর্তে একেবারে সঠিক তথ্যটা দেওয়া যাচ্ছে না, কীভাবে এই আগুন লাগলো।
এ সময় সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর আগুন লাগার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নন্দিনী, সেটা ঝালকাঠিতে। আমরা বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে বেঁচে গেছি, ট্যাংকারের মধ্যে আগুন যায়নি। তার আগেই নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় আজকের মধ্যে তেলগুলো ওখান থেকে সংগ্রহ করা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ সেখানে গেছে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কয়েক বছর আগে সুন্দরবন চ্যানেলের ভেতরে বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেটাতে অনেক তেল ছড়িয়ে পড়েছিল, পানির মধ্যে। সেটা খুব ভয়াবহ ছিল। তেল যাতে সাক করতে পারি এই ধরনের কোনো ইকুইপমেন্ট আমাদের ছিল না। মোংলা বন্দর ইতোমধ্যে সেই ধরনের ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করেছে। অন্যান্য বন্দরগুলোতেও আমাদের এ ধরনের প্রস্তুতি আছে। এছাড়া তদন্ত রিপোর্ট পেলে আমরা বুঝতে পারবো কেন যেখানে স্টাফরা থাকে আগুন ধরে গেল। আসলে বিস্ফোরণ হয়েছে, এই বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৩
জিসিজি/এএটি