ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা ও সাড়ে ১৪ লাখ টাকা লুট, ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৩
গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা ও সাড়ে ১৪ লাখ টাকা লুট, ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার

নাটোর: নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে শহিদুল ইসলাম নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা এবং চার ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নয় ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া চার লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (০১ জুলাই) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে জেলার লালপুর, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

রোববার (০২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন-মো. ইনসানুল (২৭), মো. আরিফ (২৫), মো. মিঠুন (২৮), মো. শাহ আলম (২৪), মো. রুবেল (৩২), মো. সোহাগ (২৫), মো. সুজন (৩০), মো. রেজাউল (৩৫) এবং মো. রসুল (৩২)।  

নিহত শহিদুল ইসলাম ও আহত ব্যবসায়ীদের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকায়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ঈদের আগের রাতে ঢাকার আফতাব নগর হাটে গরু বিক্রি করে বগুড়ায় ফেরার জন্য একটি ট্রাকে উঠেছিলেন শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, মো. নূর আলম, মো. রেজাউল করিম ও মো. ইউনুছ আলী নামে পাঁচ ব্যবসায়ী। ওই ট্রাকটি চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকে থাকা ছদ্মবেশী একদল ডাকাত ব্যবসায়ীদের মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে তাদের কাছে থাকা ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এসময় তাদের নির্যাতনে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী মারা যান। বুধবার (২৮ জুন) দিনগত রাতে তার মরদেহ বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে আগ্রান ফিলিং স্টেশনের পশ্চিমে ৮ নম্বর ব্রিজে ফেলে দেয় ডাকাতদল।

এছাড়া চাটমোহরগামী রাস্তায় হান্ডিয়াল নামক স্থানে ভাঙা ব্রিজের সামনে চলন্ত ট্রাক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয় আব্দুস সালামকে। অপর তিন ব্যবসায়ী মো. নূর আলম, মো. রেজাউল করিম, মো. ইউনুছ আলীকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগ্রান এলাকায় ট্রাক থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের কয়েকটি টিম জেলার লালপুর, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।

একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া চার লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।