ঢাকা: মূল্য তালিকা না থাকায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রেতাকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুম আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মো. হেলাল উদ্দিন, মো. বাবলু ও আব্দুল বাছের নামে তিন বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হেলাল ও বাছেরকে এক হাজার টাকা করে এবং বাবলুকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ তিন বিক্রেতা কাঁচা মরিচ কেনার ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। পাশাপাশি তাদের দোকানে মূল্য তালিকা ছিল না। আইনের ব্যত্যয় করায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়া ও কমার বিষয়ে মাসুম আরেফিন বলেন, ভারী বর্ষণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। তারপরও কাঁচা মরিচের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। আমরাও আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে এসেছে। এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কাঁচা মরিচের কোনো সিন্ডিকেট রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুম আরেফিন বলেন, কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য। ঈদের ছুটি ও ভারী বর্ষণের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
এদিকে ভারত থেকে আমদানি শুরুর পর রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। একদিনের ব্যবধানে কারওয়ান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ২৪০ টাকা।
সোমবার কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে দুই ধরনের মরিচ।
অথচ একদিন আগে এই বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ১৪০ থেকে ২৪০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, খরা ও অতিবৃষ্টির কারণে এবার কাঁচা মরিচের ফলনও কম হয়েছে, নষ্টও বেশি হয়েছে। তাই ঈদের আগে আগে কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেড়ে যায়। এখন ভারত থেকে আমাদানি শুরুর পর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে আমদানি যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে আবার দাম বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৩
এসসি/আরআইএস