পঞ্চগড়: অতি বৃষ্টির কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় পৌরসভাসহ দুই গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। জলাবদ্ধতায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসব পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার দিনভর পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর জালাসীর হঠাৎপাড়া এলাকা ও সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা মিললো এমন চিত্র।
পানিবন্দি সামিরুল ইসলাম বলেন, রান্না ঘর, শোবার ঘর, সব জায়গায় পানি। না খেয়ে, না ঘুমিয়ে দিন কাটছে আমাদের। কিন্তু দেখার কেউ নেই।
ঘুরে আরো দেখা যায়, পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর জালাসী-হঠাৎপাড়া এলাকায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর গড়ে তোলায় হঠাৎপাড়া ও সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়ায় ১০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আমেনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, পানিবন্দির কারণে আমরা ঈদ করতে পারিনি। দিনের পর দিন রান্না করতে পারছি না। লোকেরা খাবার এনে দিলে আমরা তা খেয়ে দিন যাপন করছি। তবে এই সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ দেখছি না।
হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা রৌশন আরা বাংলানিউজকে বলেন, ঘরের মধ্যে পানি ঢোকায় রান্নাবান্না করতে পারছি না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাতে পোকামাকড়ের ভয়ে ঘুমাতে পারি না। পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর সবাইকে বার বার বলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
এদিকে পঞ্চগড় পৌরসভার হঠাৎপাড়ায় সীমানাপ্রাচীর স্থাপন করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাখায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেই সীমানাপ্রাচীর ভেঙ্গে দেন পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন। এতে করে পানির চাপ কমে কিছুটা দুর্ভোগ লাঘবের আশা করছেন তিনি।
জাকিয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, নিম্নাঞ্চলের চাষাবাদের জমিতে বসত বাড়ি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জলাবদ্ধতা রুখতে ও দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত দুটি বড় ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
এদিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ওইসব এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুর্ভোগ না কমা পর্যন্ত পানিবন্দি মানুষের পাশে থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
এসআইএস