ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বেশি দামে কেনা, তাই মরিচের কেজি ৪০০!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
বেশি দামে কেনা, তাই মরিচের কেজি ৪০০!

ঢাকা: নানা অজুহাতে গত কয়েকদিনে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। সরকারিভাবে ভারত থেকে এ পণ্য আমদানির পর বাজারে দাম কমেছিল।

কিন্তু পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মরিচের দাম আবার বাড়ছে। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, ভারতীয় মরিচ আমদানি হলেও সরবরাহ কম। তাছাড়া বৃষ্টি ও দেশিয় উৎপাদন কম থাকায় মরিচের দাম বেশি। দামও ওঠা-নামা করবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবীর কালশি রোড, কালশি বাজার ও মিরপুর ১১ নম্বর বাজার ঘুরে কাঁচা মরিচের বাড়তি দাম দেখা যায়।

কালশি রোডের সবজি বিক্রেতা রুহুল আমিন মরিচের বাড়তি দাম সম্পর্কে বলেন, দাম বেশি হওয়ায় গতকাল বুধবার আমি মরিচ কিনিনি। এক পাল্লা (৫ কেজি) দাম নিয়েছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। আজ পাল্লা কিনেছি ১৫০০ টাকায়। তাও দাম বেশি। বাধ্য হয়ে এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি করছি ৪৪০ টাকায়। মরিচের দাম কমবে বলে মনে হয় না।

কালশি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. নিপু মোল্লা বলেন, বুধবার ভারতীয় মরিচের দাম ছিল ৪৬০ টাকা। আজ ৪০০ টাকা। দাম তো বেশি হবেই। কারণ, বড় বড় পাইকার ও সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা ছোট বিক্রেতা; আমাদের হাতে তো কিছু নেই। সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি; তারপরও বৃষ্টি। যে কারণেই দাম বাড়তি। এ মৌসুমে মরিচের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। ভারত থেকে আমদানি করলেও দাম ওঠা-নামা করবে।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল আমিন বলেন, কাঁচা মরিচের দামের ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নয়। কখন দাম বাড়ে, কখন কমে কেউ বলতে পারে না। সিন্ডিকেট না ভাঙলে এমন বাজে পরিস্থিতি চলতে থাকবে। আমরা পেট পালার জন্য বাধ্য হয়ে দাম বেশি রাখি; কিন্তু মূল কারণ এটা নয়। মরিচ কিনছিই বেশি দামে। ব্যবসা করছি, জনগণকে ঠকানো তো আমাদের উদ্দেশ্য না। নিজের ক্ষতি হোক তাও তো চাইবো না।

এসব বাজারে আসা বিভিন্ন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আগে মরিচ বেশি হারে কিনলেও এখন দুদিন পার করার মতো করে কিনছেন। তারা বলেন, বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙার মতো সরকারে কেউ নেই। সরকারেরও স্বদিচ্ছার অভাব আছে। তা না হলে, গত কয়েকদিন ধরে এ পণ্য নিয়ে যে নাটক চলছে তার একটা বিহিত হতো। দুদিন আগে ভারত থেকে মরিচ এসেছে, তারপরও বাজারে মরিচের দাম বাড়তি। আজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এক আজব দেশে আমরা বসবাস করি।

বাজার ও পাইকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি না করলে চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেওয়া সম্ভব হতো না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে আরও বেশি দাম রাখলে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।