ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

স্বামীর টানে ফরিদপুরে মালয়েশিয়ান তরুণী

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩
স্বামীর টানে ফরিদপুরে মালয়েশিয়ান তরুণী

ফরিদপুর: প্রেমের টানে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বামী জাফর মাতুব্বরের কাছে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী আজি ফাজিরা বিনতে আব্দুল আজিজ (২৫)।

জাফর মাতুব্বর ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের কররা গ্রামের মৃত আবুল কাসেম মাতুব্বরের ছেলে।

 

বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) জাফরের গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন ওই তরুণী।

খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার (৭ জুলাই) এ দম্পতিকে দেখতে বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।  

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করতেন জাফর মাতুব্বর। ওই ব্যবসা পরিচালনার সময় পরিচয় হয় আজি ফাজিরার সঙ্গে। পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে প্রণয়। করোনার সময় ২০১৯ সালের দিকে তারা মালয়েশিয়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন আগে জাফর মাতুব্বর দেশে আসেন। পরবর্তীতে গত বুধবার (০৫ জুলাই) ওই তরুণী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে জাফর মাতুব্বর তাকে রিসিভ করে পরদিন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ে আসেন।

ভাঙা ভাঙা বাংলায় আজি ফাজিরা বলেন, ‘জাফর আমাকে ভালোবাসে, আমি তাকে ভালোবাসি। বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এখনকার সবাই ভালো ও আন্তরিক। খাবার ও পরিবেশ ভালো লেগেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। এখনকার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। আমি ইন্টারনেটে দেখেছি কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ও সোনারগাঁও। আমি ঘুরে দেখতে চাই। ’

এব্যাপারে জাফর মাতুব্বর বলেন, ‘আমি মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করার সময় আজি ফাজিরা সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। পরবর্তীতে আমরা দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ করি। আমি বাড়ি আসার পর আমার ভালোবাসার টানে সে বাংলাদেশে চলে আসে। সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এতো আমরা দুইজন ও আমার পরিবারের সবাই খুশি। আবার আমরা এক সঙ্গে মালোয়শিয়া যাব। ’

এবিষয়ে আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার জানান, শুনেছি আমার ইউনিয়নের কররা গ্রামে মালেশিয়া থেকে স্বামীর টানে এক তরুণী চলে এসেছে। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েও করেছে তারা। লোকজন দেখতে ভিড় করছে। তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে আমি নজর রাখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।