ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগস্টে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের হুমকি দুই সংগঠনের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
আগস্টে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের হুমকি দুই সংগঠনের

খুলনা: জ্বালানী তেল বিক্রয়ের উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী কমিশন এজেন্টের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওউনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওউনার্স অ্যাসোসিয়েশন। দাবি না মানলে আগামী আগস্টে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের হুমকি দিয়েছেন সংগঠন দুটির খুলনা বিভাগীয় কমিটির নেতারা।

রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওউনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করায় এ ব্যবসার উপর কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে। বিভিন্ন রকম ট্যাক্স, লাইসেন্স, ছাড়পত্র যেমন- পেট্রোল পাম্প কোনোভাবেই কল-কারখানার আওতায় পড়ে না। ফিলিংস্টেশন সমূহ ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন তেল কোম্পানি থেকে উত্তোলন পূর্বক বিক্রয় করা হয়ে থাকে। ফিলিংস্টেশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয়, অথচ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য স্টেশনগুলোকে চাপ প্রয়োগ করছে। যেহেতু ফিলিংস্টেশন কল-কারখানা নয় পরিবেশ দূষণ হওয়ার সুযোগ নেই।

অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স নিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিচ্ছে। ফিলিংস্টেশনের প্রবেশ দ্বার সড়ক ও জনপথের জায়গা ব্যবহারের জন্য সড়ক ও জনপথ জমির ইজারা নিতে চাপ দিচ্ছে। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহকারী সব গাড়ির রুট পারমিট রয়েছে। এমনকি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরিরও রুট পারমিট রয়েছে। ফিলিং স্টেশনের জ্বালানি স্টোরেজ ট্যাংক বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক যা ভূগর্ভে স্থাপিত। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক কোনো পরিমাপ যন্ত্র নয়, তাছাড়া এটা ভোক্তাদের স্বার্থের সাথে কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়, যা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার সুযোগ নেই। অথচ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) উক্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক প্রতি বছর ক্যালিব্রেশন করার জন্য ফিলিংস্টেশনগুলোকে চাপ দেয়।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া বিভিন্ন সরকারি সংস্থা লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিংস্টেশনগুলোকে যে চাপ সৃষ্টি করছে তাতে অচিরেই এ ব্যবসাটি কঠিন সংকটে নিপতিত হবে। তাই আমরা মনে করি জ্বালানি ও ট্যাংকলরি ব্যবসার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব ঠিক রাখতে হলে অচিরেই আমাদের উল্লেখিত বিষয়গুলির একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। উত্থাপিত দাবিসমূহ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সকল জ্বালানি ব্যবসায়ীরা তেল উত্তোলন ও পরিবহনে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওউনার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম মাহবুব আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিরাউল ইসলাম, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মোড়ল আব্দুস সোবাহান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম নন্টু, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
এমআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।