ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিজিএমইএ'র উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
বিজিএমইএ'র উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: বিজিএমইএ'র উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ- এর সভাপতি ফারুক হাসান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আতিকুল বলেন, বাচ্চাদের লালন-পালন করলে আমাদের যেমন সাধ্যমতো উন্নতি করে, তেমনি গাছ রোপণ করলে গাছ আমাদের উপকারে আসে। আপনারা দেখেছেন, আমাদের সিটি করপোরেশনের একজন কন্ট্রাক্টর ছয়টি গাছ কেটেছে, আমি তাকে ও একজন ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করেছি। ফুটপাতে ছাতিম, বকুল, কাঠবাদাম, কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু গাছ লাগানো হবে।

তিনি বলেন, আগামী ২০ তারিখ প্রধানমন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করবেন। অর্থাৎ, আমরা যে বর্জ্য ফেলে দেই, সেটি এখন আর ফেলে দেওয়ার জিনিস নয়। এভাবেই এগিয়ে যাবে শহর।

অনুষ্ঠানে ফারুক হাসান বলেন, আমরা সপ্তাহব্যাপী (১০ থেকে ১৬ জুলাই) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা সবাই জানি যে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম। বাংলাদেশকে ষড়ঋতুর দেশ বলা হলেও এখন তিনটি ঋতু ছাড়া অন্যান্য ঋতু দৃশ্যমান ও অনুভূত হয় না। জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব চিরচেনা গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ঋতুর বিশৃঙ্খল আচরণ প্রকৃতিকে এলোমেলো করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর আরও বহু দেশ চরম মূল্য দিতে শুরু করেছে। আমরা প্রায়ই বিশ্ব গণমাধ্যমে দেখছি ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সময়ে অসময়ে বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঘন ঘন বজ্রপাত, আগুনে পুড়ে বন উজাড় হয়ে যাওয়া, কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ার কারণে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফ গলে যাচ্ছে, পানির উচ্চতা ক্রমশ বাড়ছে। একারণে পৃথিবীর বহু নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে যাচ্ছে এবং মানুষ বাস্তুভিটা হারিয়ে গৃহহীন হচ্ছে। পৃথিবী একটি চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ বিপর্যয়কে ত্বরান্বিত করছে অবাধে গাছপালা কেটে ফেলা, অযাচিতভাবে বন উজাড় করা।

ফারুক হাসান বলেন, এ প্রেক্ষাপটে পরিবেশ ও ধরণীকে বাঁচাতে বিজিএমইএ বৃক্ষরোপণ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় এবারে আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও আশেপাশের এলাকায় এ বছর আমরা পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী বছর সারা দেশব্যাপী আরও পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আমি বিজিএমইএ, বিকেএমইএ অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের সদস্যরা এবং সরকারি ও বেসরকারি সব সংস্থাকে এ কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মসূচির সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।